তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ অক্টোবর: বিদ্যাসাগরের বীরসিংহ গ্রামে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে, ৫৪ বিঘা জায়গার উপর সেই ঐতিহাসিক বড়পুকুর-কে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে পার্ক। তবে, ওই বড়পুকুর পাড়ে বংশপরম্পরায় বসবাসকারী তপশিলি জাতি ভুক্ত ১৭টি পরিবার পুনর্বাসনের দাবিতে অনড় থাকায়, পার্কের প্রাচীর নির্মাণ কাজে ঘটেছে ব্যাঘাত! ইতিমধ্যে, ওই ১৭টি পরিবারের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে, পাশে দাঁড়িয়েছেন ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট। তাঁর দাবি, অবিলম্বে পরিবারগুলির পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করলে, বিধানসভা পর্যন্ত আন্দোলন নিয়ে যাব। জানা যায়, বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বিজড়িত বড়পুকুর পাড়ে শুরু হয়েছে পার্ক নির্মাণের কাজ। সেই পুকুর পাড়েই ১৭টি পিছিয়ে পড়া তথা তপশিলি পরিবারের বাস। ওই পরিবারগুলির দাবি, তাঁদের দিন আনা দিন খাওয়ার সংসার। বংশ পরম্পরায় তাঁরা বিদ্যাসাগরের পুকুরপাড়ে বাস করে আসছেন। এতকাল তাঁদের কেউ বাধা দেয়নি। এমনকি আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বা সচিত্র পরিচয় পত্র সবই আছে। তবে, নেই নিজস্ব জমি-জয়াগা! ওই বড়পুকুরপাড়েই এত কাল বসবাস করে আসছিলেন, এবার সেখান থেকেও তুলে দেওয়া হলে, কোথায় যাবেন তাঁরা?
পরিবারগুলির দাবি, তাঁদের পুনর্বাসনের কথা চিন্তা না করেই, তাঁদের বাড়ি ঘিরে দিয়ে, প্রাচীর তুলে পার্ক তৈরী করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। এমনকি, তাঁদের বলা হয়েছে এখান থেকে উঠে যেতে। এই নিয়ে পরিবারগুলি পড়েছে চরম সমস্যায়। ইতিমধ্যে, প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে মিলেছে শুধু আশ্বাস। কিন্তু, পুনর্বাসনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি! এতেই দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ। যদিও, পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক শীতল কপাট। এলাকা পরিদর্শন করে পরিবারগুলোর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বর্তমান শাসকদল এবং ঘাটালের মহকুমাশাসককে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছেন তিনি। বিধায়ক বলেন, “বিদ্যাসাগরের পুকুরপাড়ে উন্নয়ন করা হোক। কিন্তু, যে পরিবারগুলি দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে, তাঁদের আগে পুনর্বাসন দিতে হবে। তাঁদের উচ্ছেদ করে পার্ক নির্মাণ করা চলবে না।” প্রয়োজনে তাঁরা এই আন্দোলনকে বিধানসভা পর্যন্ত নিয়ে যাবে বলেও হুশিয়ারি দেন।
অপরদিকে, ঘাটালের সিপিএম নেতা চিন্ময় পাল এর দাবি, “আমরা উন্নয়নের বিরোধী নই। কিন্তু, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন, সেই পরিবারগুলির আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক। পঞ্চায়েত সমিতির তরফে আশ্বাস দেওয়া হলেও, কথা রাখা হয়নি! তাই, আমরা চাই, আগে পুনর্বাসন দেওয়া হোক। নাহলে, একবার প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়া হলে, চরম সমস্যায় পড়বেন ওঁরা।” দাবি পূরণ না হলে, বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন বলেও জানিয়েছেন সিপিআইএম নেতৃত্ব। এই বিষয়ে ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ মাঝির দাবি, “আমরা পরিবারগুলির পূনর্বাসনের কথা ভাবছি। ৪টি পরিবারকে ইতিমধ্যে লে-আউট দেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও বাড়ি করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু, বিরোধীরা এইভাবে বিরোধিতা করলে উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটবে।” তবে, এখনও চরম অনিশ্চয়তার মুখে ওই ১৭টি পরিবার!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…