তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ আগস্ট: ঘাটাল আছে ঘাটালেই। এই মরশুমে এখনো অবধি তেমন বৃষ্টি হয়নি। সোমবার সকাল থেকে কয়েক ঘন্টা মাত্র টানা বৃষ্টি হয়েছে। আর, তাতেই ডুবে গেল অর্ধেক ঘাটাল। ঘাটাল, দাসপুর, ক্ষীরপাই- সর্বত্র উঠে এলো জল যন্ত্রণার ছবি। দেখা দিয়েছে পানীয় জলের হাহাকার! জলের অভাবে ক্ষোভে ফুঁসছেন ক্ষীরপাই পৌরবাসী। সোমবার পানীয় জলের অভাবে মিড-ডে মিল হলোনা একাধিক স্কুলে। বাড়িতে বাড়িতে অঘোষিত অরন্ধন পালিত হল! পৌরসভার বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
সোমবার ভোর রাত থেকে হঠাৎ বৃষ্টিতে ক্ষীরপাই পৌরসভার ৩ নম্বর, ৭ নম্বর এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তা ঘাটগুলি চলে যায় জলের তলায়। পানীয় জলের ট্যাপ-ও জলের তলায়! বহু বাড়িতেও ঢুকেছে জল। নেই ইলেকট্রিক। পানীয় জলের অভাবে তাই ক্ষীরপাই পৌরসভার বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই, বাড়িতে বাড়িতে পালিত হল অরন্ধন। পৌরবাসীর প্রশ্ন, বর্ষার শুরুতেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ভরা বর্ষার সময় কি দুর্দশা হবে? অভিযোগ, বেহাল নিকাশি ব্যাবস্থা নিয়ে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সামান্য বৃষ্টি হলেই অনেকের বাড়িতে জল ঢুকে যায়। পৌরসভা এই ব্যাপারে উদাসীন। নিয়মিত নিকাশী নালাগুলি পরিষ্কার করা হয়নি। অপরিকল্পিতভাবে নিকাশী নালাগুলি করা হয়েছে।
তার ওপর বিদ্যুৎ না থাকার জন্য, পানীয় জলের হাহাকার! কষ্ট পাচ্ছে শিশুরা। পৌরসভার ৭ নম্বর এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাথমিক দুটি স্কুলে জলের অভাবে মিড ডে মিল-ও বন্ধ রাখতে হয়। সপ্তাহের প্রথম দিন-ই মিড ডে মিল না খেয়ে বাড়ি ফিরতে হলো শিশুদের। ক্ষীরপাই পৌরসভার চেয়ারম্যান দুর্গাশঙ্কর পান এই বিষয়ে বলেন, “প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। আগাম আমরা কিছু জানতে পারিনি। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত জল সরবরাহ করার।” ক্ষীরপাই মন্ডল বিজেপির সম্পাদক উজ্জ্বল বলিয়া বলেন, “পৌরসভার তিন তিনটি রিজার্ভার থাকা সত্ত্বেও, মানুষ জল পাচ্ছে না কেন? পৌরসভা দুর্নীতি করতেই ব্যস্ত তারা নাগরিক পরিষেবা দিবে কেমন ভাবে।”