দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ মে:’তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে শনিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীতে ‘অধিবেশন’ অনুষ্ঠিত হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। সান্ধ্যকালীন ওই সভাতেই উপস্থিত থাকতে পারেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থেকে শালবনীর অধিবেশনে যোগ দিতে চলেছেন বলে বুধবার রাতেই জানা গিয়েছিল জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের একটি বিশ্বস্ত সূত্র। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফেও বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, এনিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে সর্বত্র। ইতিমধ্যে, বিরোধীদের তরফে দাবি করা হয়েছে, জঙ্গলমহলে কুড়মি-বিক্ষোভ সামাল দিতেই আসছেন মুখ্যমন্ত্রী!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, শনিবার অর্থাৎ ২৭-মে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ি দিয়ে শুরু হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি। কেশিয়াড়িতে স্বাগত জানানোর পর তিনি বেলদাতে রোড শো করবেন। তারপর, ৬০ নং জাতীয় সড়ক ধরে খড়্গপুরের চৌরঙ্গী এবং মেদিনীপুরের ধর্মাতেও দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে শোভাযাত্রা করবেন। ধর্মা থেকে কেরানীচটি ও ভাদুতলা দিয়ে তিনি পৌঁছে যাবেন শালবনীতে। শালবনীর নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে শনিবার সন্ধ্যায় নবজোয়ার কর্মসূচির অন্তর্গত অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই হেলিকপ্টারে করে পৌঁছে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে, ওই মাঠে হেলিপ্যাড তৈরির প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। জানা যায়, শনিবার স্টেডিয়ামে রাত্রিবাস করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার চন্দ্রকোনা রোড হয়ে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর পৈত্রিক ভিটে মোহবনী এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মভিটে বীরসিংহ থেকে ঘাটলে পৌঁছবেন তিনি। সোমবার তাঁর জেলা সফরের শেষ দিন ডেবরায় রোড শো এবং সবংয়ের তেমাথানিতে অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবেন অভিষেক। এমনটাই জানিয়েছেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা। তবে, মুখ্যমন্ত্রী হয়তো শনিবার রাতেই কলকাতা ফিরে যেতে পারেন!