দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৬ এপ্রিল: এই রোগের নাম ‘সিবিআই’ (CBI) বলারই পক্ষপাতী রাজনৈতিক মহল। যদিও, এসএসকেএম (SSKM) এর সরকারি ডাক্তাররা প্রাথমিক মেডিক্যাল বুলেটিনে জানিয়েছেন, গুরুতর না হলেও, অনুব্রতর শ্বাসকষ্ট আছে! আছে ডায়াবেটিস এবং সিওপিডি’র মতো সমস্যাও। তবে, এসবের কোনো রোগটাই অনুব্রত’র ক্ষেত্রে নতুন নয়, হঠাৎ করেও নয়! মূল রোগটা নিঃসন্দেহে সিবিআই আতঙ্ক। নাহলে তো অনুব্রত এমার্জেন্সি (Emergency)-ওয়ার্ডে ভর্তি হতেন, ভিআইপি উডবার্ণ ওয়ার্ডে কেন? দুপুর থেকে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য রাজধানী আর রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে। যদিও, একপ্রকার জোর করে অনুব্রত উডবার্ণ ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে গেছেন এবং সিবিআই-কে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, হাজিরার জন্য তাঁকে যেন চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়! সেই অনুরোধ করেছেন তিনি। তবে সিবিআই চাইলে হাসপাতালে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার সকালে কালো এক্সইউভি গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই হাসপাতালে ঢোকেন অনুব্রত। তারপর তাঁকে রীতিমতো পাঁজাকোলা করে উডবার্ন ওয়ার্ডে ঢোকানো হয়। চিকিৎসকদের কাছে রীতিমতো বায়না জুড়ে বসেন অনুব্রত মণ্ডল! তিনি দাবি জানাতে থাকেন, তাঁকে সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনেই থাকতে দিতে হবে। যদি তা না সম্ভব হয়, তাঁকে আইসিইউতেই রাখা হোক। অক্সিজেন চালু করে দেওয়া হোক। কিন্তু, যখন তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক, তাহলে কিভাবে বাইরে থেকে অক্সিজেন দেবেন চিকিৎসকরা? সেই ভাবনাচিন্তাই তখন করছেন চিকিৎসকরা! এরপর, অবশ্য বাধ্য হয়েই তাঁকে ভর্তি নেয় উডবার্ণ ওয়ার্ড। বলাই বাহুল্য, মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী’র মতো ভিভিআইপি-দের জন্য নির্ধারিত সাড়ে ১২ নম্বর ওয়ার্ড পাননি দিদির প্রিয় কেষ্ট!