তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ ফেব্রুয়ারি: তরতাজা এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল সোমবার সাত সকালে! প্রাথমিক অনুমান ‘আত্মহত্যা’, তবে ওই যুবকের মায়ের দাবি তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। অভিযোগের তীর দুই বন্ধুর দিকে। ঘটনাটি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ড এলাকার। জানা যায়, ঘাটাল পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডের দূরভাষপল্লী এলাকায়, নিজের বাড়ি থেকে মৃণাল পাত্র (১৯) নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় সোমবার সকালে। ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘাটাল থানার পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। তবে, যুবকের মায়ের দাবি ‘খুন’ করা হয়েছে তাঁর ছেলেকে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে সত্য উদঘাটিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, মৃণাল ঘাটালের কুশপাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করত। সেখানেই পরিচয় হয় সুমন দাস ও সুরজ দাস নামে দুই যুবকের সঙ্গে। এরপর তৈরি হয় বন্ধুত্ব। অভিযোগ, বন্ধু সুরজ দাসের দিদিকে মৃণাল একটি প্রেমঘটিত মেসেজ করেছিল। পরে আরও কিছু কথোপকথন হয় সমাজ মাধ্যমে। এই ঘটনা সুরজ জানতে পেরে, মৃনাল-কে বেশ কয়েকবার মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকি, প্রাণে মারার হুমকিও দেয় সুরজ দাস ও সুমন দাস। এদিকে, সোমবার সকালে, তার নিজের ঘরে মৃণালের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান মা গায়ত্রী দেবী। এরপরই তিনি পরিবারের সদস্যদের এবং প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি শুরু করেন। সকলে এসে দেখেন মৃণালের নিথর দেহ ঝুলছে! এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়! শোকস্তব্ধ গায়ত্রী দেবীর দাবি, “আমার ছেলেকে সুরজ দাস ও সুমন দাস নামে ওই দুই যুবক খুন করে ঝুলিয়ে দিয়ে গেছে।” তিনি এও জানান, তাঁর ছেলের ফোনে সমস্ত তথ্য ও মেসেজ আছে। পুলিশের হাতে তিনি সবকিছু তুলে দেবেন! তবে, স্থানীয়দের অনেকেরই অনুমান, বারবার অপমানিত হয়েই মৃণাল আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।