তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ এপ্রিল: বিদ্যুৎ দপ্তরে এক কর্মীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য! মৃত ব্যক্তির গলায় ফাঁসের দাগ দেখে ঘনিয়েছে রহস্য। ইতিমধ্যে, মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এমনই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষীরপাই পৌরসভার বামারিয়া এলাকায়। সোমবার সকালে এলাকার বাসিন্দা মধ্যবয়স্ক দেবব্রত সাঁতরা’র মৃত্যু ঘিরে এমনই রহস্য দানা বেঁধেছে। দেবব্রত চন্দ্রকোনা বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ।
জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা দেবব্রত সাঁতরা চন্দ্রকোনা বিদ্যুৎ দপ্তরের এক কর্মী। মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের দাবি, দেবব্রত স্ত্রী তনুশ্রী ও ছেলে মেয়েকে নিয়ে থাকত। মৃত ব্যক্তির ভাই সুব্রত সাঁতরা’র দাবি, তাঁর দাদার এক সহকর্মী হঠাৎ তাঁদের ফোন করে জানায় যে, তাঁরা দেবব্রতকে ফোন করলেও দেবব্রত ফোন ধরেনি। কিন্তু, দেবব্রতের পরিবারের কেউ ফোন ধরে ছিল, আর ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে কান্নার আওয়াজ পায়। আর এতেই সন্দেহ বাড়ে। দ্রুত তাঁরা দেবব্রতের ভাই সুব্রত-কে ফোন করে বিষয়টি জানায়। যদিও এই ঘটনার পরে দেবব্রতের পরিবারে সদস্যরা জানতে পারে যে, ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁর দাদাকে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু, কি ঘটনা ঘটেছে, কিছুই তাঁদের জানায়নি দেবব্রতের স্ত্রী তনুশ্রী। হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, দেবব্রতকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা তেমনটাই জানায়। আর গলায় রয়েছে ফাঁসের দাগ। আর, এতেই দেখা দিয়েছে রহস্য। মৃতের পরিবারের দাবি তাঁর দাদাকে হয়তো গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে দেওয়া হয়েছে। যদিও, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। মৃত ব্যক্তির মেয়ে ও স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। অপরদিকে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ।