দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ১৮ আগস্ট: শুধু মেদিনীপুর কেন, বাঙালির ঘরে ঘরে যেন টানা ৩ দিন ধরে ‘অরন্ধন’ চলছে! সেই সোমবার (১৬ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে, আজ অবধি চলছে। আরও ক’দিন চলবে কে জানে! রীতিমতো ক্ষুব্ধ গৃহকর্তারা। হয় নিজেদের’কে রান্না করে খেতে হচ্ছে। নাহলে মুড়ি খেয়েই দিন কাটছে। একটু আধুনিক গৃহকর্তাদের অবশ্য জোমেটো-সুইগিই ভরসা। ঘর ছেড়ে যাওয়ারও উপায় নেই! ঘরে বাচ্চা কাচ্চা আছে। এই ক’দিন তো ঘরকন্না’র কাজ তাদেরকেই করতে হচ্ছে। আর, এসবের জন্য রাগে ফুঁসছেন গৃহকর্তারা। তাঁরা সব দোষ চাপাচ্ছেন ‘দিদি’র উপর। দিদি মানে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। না তিনি “লক্ষ্মীর ভান্ডার” প্রকল্প আনতেন, না ঘরের গৃহলক্ষ্মীরা সেই কাকভোর (কোথাও কোথাও রাত থেকে) থেকে “দুয়ারে সরকার” এর ক্যাম্পে লাইন দিতেন!
মেদিনীপুর থেকে মালদা, কুচবিহার থেকে কাঁথি, খাকুড়দা থেকে খড়্গপুর সর্বত্র এক চিত্র। পায়ে পিষ্ট হয়ে আহত হচ্ছেন অনেকেই! অনেকে ভিড়ের চাপেও অসুস্থ হচ্ছেন। সঙ্গে করোনাসুরের ভয় তো থাকছেই, কারণ ২৫ থেকে ৪৪ এর মহিলাদের অনেকেরই ২ টি (অনেকের আবার ১ টিও) ভ্যাকসিন হয়নি! ভিড় স্বাস্থ্যসাথীর ক্যাম্পেও। স্বাস্থ্যসাথী ছাড়া লক্ষ্মীর ভান্ডার হবেনা! সব দিক বিবেচনা করে কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জায়গায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত মেদিনীপুরে প্রায় ১ লক্ষ লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম জমা পড়ে গেছে বলে সূত্রের খবর। অন্যান্য সমস্ত প্রকল্প মিলিয়ে মোট ফর্ম দেড় লক্ষের কাছাকাছি!