দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ জানুয়ারি: জেলা থেকে নির্বাচিত অন্য দুই মন্ত্রীর নাম থাকলেও, তাঁর নাম নেই আমন্ত্রণপত্রে থাকা ‘সম্মানীয় অতিথি’দের তালিকায়। অথচ আমন্ত্রণ-পত্রে জায়গা পেয়েছেন ‘বিধায়ক’ (মেদিনীপুর) জুন মালিয়া! অনুষ্ঠানের নাম যেখানে ‘জঙ্গলমহল উৎসব’, সেখানে খোদ জঙ্গলমহলের (শালবনীর) ‘ভূমিপুত্র’ বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী হয়েও, আমন্ত্রণ-পত্রে ‘ব্রাত্য’ সেই শ্রীকান্ত মাহাত’ই শেষ পর্যন্ত শাসকদল তথা সরকারের মান রাখলেন! মঞ্চে ‘একা’ উঠেই সংবর্ধনা নিলেন। ছোট্ট বক্তৃতাও দিলেন। যদিও তখন মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়ে গেছে। মঞ্চে দুই সঞ্চালক ছাড়া ছিলেন না অন্য কোনো অতিথিরাও। তবুও, ‘বিতর্ক’ (জেলার মন্ত্রী হয়েও আমন্ত্রণপত্রে জায়গা না পাওয়া) আর বাড়তে না দিয়ে, নানাভাবে একপ্রকার চাপে থাকা সরকার ও দলের ‘মান’ বাঁচালেন জঙ্গলমহল শালবনীর বিধায়ক তথা মন্ত্রীই। জেলা থেকে নির্বাচিত অপর দুই মন্ত্রী যথাক্রমে ডাঃ মানস রঞ্জন ভুঁইয়া (ক্যাবিনেট মন্ত্রী) এবং শিউলি সাহা (প্রতিমন্ত্রী)’র নাম আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ থাকলেও, এদিন তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারেননি। জুন মালিয়া ছাড়াও বিধায়ক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে নাম ছিল উত্তরা সিংহ হাজরা’রও। তিনিও এদিন উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি, জুন মালিয়া ছাড়া অন্যান্য বিধায়কদের মধ্যে কেবলমাত্র ছিলেন পরেশ মুর্মু (কেশিয়াড়ির বিধায়ক)। সবমিলিয়ে নবম জঙ্গলমহল উৎসবের সূচনা লগ্নেই এমনই নানা বিতর্কের সৃষ্টি হল।
এমনিতেই রাজ্য সরকারের কোষাগারে টান পড়ায়, উৎসবের বহর কমানো হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষেত্রে এবার কেবল জেলা শহরেই (বা, জেলা সদরে) অনুষ্ঠান হচ্ছে। ব্লকের উৎসব এবার বন্ধ করা হয়েছে। জেলা শহরের ঐতিহ্যমন্ডিত কলেজ কলেজিয়েট ময়দানে আয়োজিত নবম বর্ষের জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধন হল বুধবার বিকেলে। আর, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরেই দেখা দিল নানা ‘বিতর্ক’! উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে দেখা গেলোনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে নির্বাচিত কোনো মন্ত্রীকেই। আমন্ত্রণ পত্রে সবার আগে নাম থাকলেও, উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যের অন্যতম ক্যাবিনেট মন্ত্রী তথা সবংয়ের বিধায়ক ডাঃ মানস রঞ্জন ভুঁইয়া। তিনি দলীয় কর্মসূচি উপলক্ষে রাজ্যের বাইরে বলে জানা গেছে। পঞ্চায়েত দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা’র সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি। তবে, তিনিও পৃথক কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন বলে জানা যায়। উত্তরা সিংহ হাজরা সহ দলের ‘অনুপস্থিত’ অন্যান্য বিধায়করা ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি পালনে ব্যস্ত ছিলেন বলে জানা যায়। তবে, একমাত্র ‘বিধায়ক’ হিসেবে আমন্ত্রণ পত্রে জায়গা পাওয়া জুন মালিয়া অবশ্য ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির ফাঁকেই উপস্থিত হয়েছিলেন। এদিন, শালবনীতে তাঁর কর্মসূচি ছিল। প্রথম অর্ধে কর্মসূচি পালন করে ‘যথাসময়ে’ অর্থাৎ বিকেল তিনটা-সাড়ে তিনটা নাগাদ তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন মেদিনীপুর কলেজ কলেজিয়েট মাঠে। বক্তৃতাও দিলেন। আমন্ত্রণপত্রে জেলার একজন মন্ত্রী (শ্রীকান্ত মাহাতোর)’র নাম ‘না থাকা’ এবং বাকিদের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, “আমন্ত্রণ পত্রের বিষয়টা রাজ্য থেকে করা হয়। এনিয়ে আমি বলতে পারবো না। তবে, অনেকেই অনুপস্থিত, দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত আছেন বলেই হয়তো।”
এরপরই, জুন মালিয়া পুনরায় তাঁর কর্মসূচি পালন করতে শালবনীতে চলে যান। তারপরই অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে পৌঁছন শালবনীর বিধায়ক তথা ক্রেতা সুরক্ষা ও উপভোক্তা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত। এনিয়ে জুন বা শ্রীকান্ত কিছু বলতে না চাইলেও, বিরোধীরা অবশ্য শ্রীকান্ত মাহাতোর একটি ভাইরাল ভিডিও (যেখানে জুন সহ দলের অনেক নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন শ্রীকান্ত)’র কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন! তবে, ‘দেরি’ করে পৌঁছলেও সরকারি আধিকারিক ও সঞ্চালকদের অনুরোধে মঞ্চেও ওঠেন। সংবর্ধনা গ্রহণও করেন। তবে, সেই সময় মঞ্চ থেকে নেমে গিয়েছিলেন অন্যান্য অতিথিরা! ছিলেন কেবল দুই সঞ্চালক। মঞ্চ থেকে নেমে অবশ্য জেলাশাসক আয়েশা রানী এবং মৎস দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী’র সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি স্টল ঘুরে দেখেন তিনি। এদিকে, ‘সরাসরি’ নাম না থাকলেও, ‘সম্মানীয় অতিথি’ হিসেবে বাকি বিধায়কদের ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়েছিল ‘স্থানীয় বিধায়কগণ’। এদিন, অবশ্য তাঁদের মধ্যে কেবল উপস্থিত ছিলেন কেশিয়াড়ির বিধায়ক পরেশ মুর্মু। বিধায়ক অজিত মাইতি, দীনেন রায়, বিক্রম চন্দ্র প্রধান, সূর্যকান্ত অট্ট, হুমায়ূন কবীর, অরূপ ধাড়া, মমতা ভুঁইয়া এদিন উপস্থিত হননি। তবে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা মৎস্য দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী। আমন্ত্রণ পত্রে তাঁর নামও ছিল। এছাড়াও ছিলেন, জেলাশাসক আয়েশা রানী, পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার প্রমুখ।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ ডিসেম্বর: কুয়াশার চাদরে ঢাকল শহর মেদিনীপুর! শনিবার সন্ধ্যার…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ ডিসেম্বর: "শুনে আনন্দিত হলাম বনশুয়োরের বাচ্চাটি শালবনী থেকে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ ডিসেম্বর: সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেন নি। বিকেলে পুকুর…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ ডিসেম্বর: গত ৫ ডিসেম্বর 'রেল শহর' খড়্গপুরের বোম্বে…
মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ ডিসেম্বর: প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলেও নজরকাড়া জীববৈচিত্র্য উদ্যান বা বায়োডাইভার্সিটি পার্ক (Biodiversity…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২০ ডিসেম্বর: কিউএস আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং-২০২৫ (স্থায়িত্ব)- এ সারা দেশে…