দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ সেপ্টেম্বর: “দুপুর ১২টা থেকে রাত্রি ১২টা অবধি আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পর, নিজেদের দাবি আদায় করতে পেরেছি। হুমকি বা থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন আমরা রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজেই ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা চাই, ভয়কে হারিয়ে ন্যায়কে জয় করুক প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ।” মধ্যরাত (রবিবার রাত্রি ১২টা ০৫ মিনিটে) অবধি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পর, নিজেদের প্রাথমিক দাবি পূরণের বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর, কলেজ প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে ঠিক এমনটাই জানালেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের এক ইন্টার্ন বা জুনিয়র চিকিৎসক। প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হাউসস্টাফ তথা কলেজের TMCP ইউনিটের হেড মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিকের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফের নতুন নির্দেশিকা জারি নিষেধাজ্ঞা ‘প্রত্যাহার’ করে নেয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিল। প্রতিবাদে শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে রাত্রি ১২টা অবধি জুনিয়র চিকিৎসকরা ‘ঘেরাও’ করে রাখেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের MSVP বা সুপার ডঃ জয়ন্ত রাউত, ডিন অফ স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডঃ আর.এন মাইতি এবং সিনিয়র মোস্ট অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডঃ সোমদেব গুপ্ত-কে। যদিও, এদিন অনুপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষা ডঃ মৌসুমী নন্দী।
শেষ পর্যন্ত পড়ুয়াদের আন্দোলনের চাপে ঠিক মধ্যরাতে (রাত্রি ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ) তাঁদের বেশ কিছু দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন MSVP, ডিন এবং বরিষ্ঠ অধ্যাপক। পড়ুয়া তথা জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মতো, মুস্তাফিজুর রহমানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফের কলেজ কাউন্সিল তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস দেওয়ার পরই ঘেরাও-অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন তাঁরা। জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, “প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পর আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। সোমবার এই বিষয়ে আলোচনার জন্য লিখিত প্রতিশ্রুতি আমরা আদায় করতে পেরেছি।” তাঁরা এও জানিয়েছেন, মূলত প্রিন্সিপাল ম্যাডামের সিদ্ধান্তেই ‘প্রভাবশালী’ মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিকের উপর থেকে কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ঢোকার ‘নিষেধাজ্ঞা’ প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারের (৩০ আগস্ট) নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশিকায় (অর্থাৎ, ২৪ ঘন্টার মধ্যে বেরোনো দ্বিতীয় নির্দেশিকায়) ডিন অফ স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ‘নির্ধারিত’ জায়গায় তাঁর পরিবর্তে ‘স্বাক্ষর’ করেছিলেন সিনিয়র মোস্ট অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডঃ সোমদেব গুপ্ত। শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে তিনি জানান, প্রিন্সিপালের নির্দেশেই গতকালের নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেছিলেন তিনি! যুক্তি দিয়ে তিনি এও জানান, মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বপক্ষে পড়ুয়া বা জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে কোন প্রমাণ ছিলনা। তাই একজন হাউসস্টাফ হিসেবে আপাতত মুস্তাফিজুর নিজের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু, ছাত্ররা প্রমাণ দিলে নিশ্চয়ই অন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একইসঙ্গে, ছাত্রদের তোলা সমস্ত অভিযোগই তদন্তের আওতায় রয়েছে বলে জানান তিনি। MSVP বা হাসপাতালের সুপার ডঃ জয়ন্ত রাউত বলেন, “ওঁদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রিন্সিপাল যেমন নির্দেশ দিয়েছেন, সেই মতো আমরা ওঁদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। তদন্ত চলছে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…