দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ জুলাই: গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের পিড়াকাটা শাখায়! সোমবার রাত্রি সাড়ে বারোটা এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে বলে পিড়াকাটা পুলিশ পোস্ট সূত্রে জানা গেছে। ব্যাঙ্কের ইলেকট্রিক মিটারকে কেন্দ্র করে এই অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে বলে যায়। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে ওই ইলেকট্রিক মিটার এবং তার সঙ্গে সংযুক্ত ইলেকট্রিকের অন্যান্য যন্ত্রাংশ! গভীর রাতের এই ঘটনায় কিছুক্ষণের মধ্যেই ধোঁয়ায় ভরে যায় চারিপাশ। এরপরই, ওই একই আবাসনে থাকা একটি পরিবারের তরফে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পিড়াকাটা পুলিশ পোস্টে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রাদি নিয়ে পৌঁছে যান পুলিশ পোস্টের ইনচার্জ সুদীপ কর সহ তাঁর বাহিনী। খবর দেওয়া হয় মেদিনীপুর শহরের সিপাইবাজারে অবস্থিত ফায়ার ব্রিগেড বা দমকল বাহিনীতে। জানানো হয় ব্যাংকের আধিকারিকদেরও। তবে, দমকল পৌঁছনোর আগেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে পিড়াকাটা পুলিশ পোস্টের বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। মেদিনীপুর শহর থেকে শালবনী ব্লকের পিড়াকাটাতে দমকল বাহিনী যখন পৌঁছয় ততক্ষণে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা যায়। ইতিমধ্যে, ওই আবাসনে বসবাসকারী একটি পরিবারকেও নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে আসেন পুলিশ কর্মীরা।সর্বোপরি, ব্যাংকের ভেতরে আগুন প্রবেশ করার আগেই তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হন পুলিশ ও দমকল। গভীর রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের উদ্দেশ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এলাকারই বাসিন্দা তথা বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের অন্যতম ডাইরেক্টর বুলবুল হাজরা, ব্যাংকের হিসাবরক্ষক (ক্যাশিয়ার) পিন্টু ঘোষ, ব্যাঙ্কের কর্মী তোতন দাস সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

thebengalpost.net
মঙ্গলবার বন্ধ ছিল ব্যাংকের স্বাভাবিক কাজকর্ম :

এদিক, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে মঙ্গলবার ব্যাংকের স্বাভাবিক কাজকর্ম বা পরিষেবা বন্ধ থাকে। কারণ, ইলেকট্রিক লাইন পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জেনারেটর চালিয়েও ব্যাংকের কাজকর্ম করা যায়নি। দুপুর নাগাদ বিদ্যুৎ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের নেতৃত্বে দপ্তরের কর্মীরা মেন লাইন থেকে শুরু করে ব্যাংকের লাইন মেরামতির কাজ শুরু করেন। বদলে দেওয়া হয় ওই মিটার সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ। পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। তবে, গভীর রাতে লাইনে তেমন চাপ না থাকলেও এত বড় অগ্নিসংযোগের ঘটনা কিভাবে ঘটলো, তা নিয়েই তদন্ত শুরু করেছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের পিড়াকাটা স্থিত বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের এই শাখার ম্যানেজার (শাখা প্রবন্ধক) পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী এদিন দুপুরে জানান, “আমরা সত্যিই এক বড়সড়ো বিপদের হাত থেকে বাঁচলাম। শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে, পুলিশ কর্মীদের তৎপরতায় আগুন ভেতরে প্রবেশ করার আগেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। দমকলেও খবর দেওয়া হয়। তবে, তাঁরা পৌঁছনোর আগেই নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। ব্যাঙ্কের স্থানীয় ডাইরেক্টর সহ যে সমস্ত কর্মীরা পিড়াকাটার আশেপাশে থাকেন, তাঁরাও গভীর রাতে পৌঁছন।”