তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ মে: “…. যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে নতুন কর্মসূচি ‘বামাদাকে বলো’। কোন নেতা, কর্মী বা কোন কাউন্সিলর, চেয়ারম্যানকে জানিয়ে কিছু লাভ হবে না। যেকোনো জটিল সমস্যার সমাধান পেতে কাটমানি সহ বমাদার সাথে যোগাযোগ করুন। সন্ধ্যার পর গেলে অবশ্যই একটি বোতল নিয়ে যাবেন।—- ইতি, নাগরিকবৃন্দ।” পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়ার পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড জুড়ে পড়েছে এই পোস্টার। রবিবার থেকে এই পোস্টার পড়া শুরু হয়েছে। আর, তারপর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর!
অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার খড়ার পৌর এলাকায় নাগরিকদের পৌর-পরিষেবা পেতে দিতে হচ্ছে কাটমানি। এমনকি পৌরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারকে না জানিয়ে নাকি কোন কাজই হচ্ছে না পৌরসভার! এমনটাই অভিযোগ তুলে খড়ার পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডেই পড়েছে পোস্টার। পোস্টার ঘিরে সিপিআইএম নেতা ফাল্গুনী বীর দাবি করেছেন, পোস্টারে লেখা সমস্ত ঘটনাই সত্য। কারণ, “খড়ার পৌরসভায় কোন কাজ নিয়ে গেলে বামাপদ মাইতি নামে ওই ইঞ্জিনিয়ার কে না জানিয়ে কোন কাজ হয় না! কাজের জন্য ‘কাটমানি’ও দিতে হয়।” তবে, ফাল্গুনী বাবু মনে করছেন এই পোস্টারের পিছনে রয়েছে তৃণমূলেরই বিরোধী গোষ্ঠী। খড়ার পৌর এলাকার মহিলা তৃণমূলের নেত্রী পুতুল পাত্রও স্বীকার করে নিচ্ছেন এই পোস্টারের সত্যতা। তিনি জানাচ্ছেন, পৌরসভার চেয়ারম্যান কোনো কাজ না জানায়, সমস্ত বিষয়েই পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার বমাপদ মাইতির উপর নির্ভর করতে হয়! তবে, ‘কাটমানি’র বিষয়টি তিনি জানেন না বলেও দাবি করেছেন। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে জেলা নেতৃত্বকেও জানানো হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু, কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। যার ফলে পৌর এলাকার পরিষেবা পেতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে পৌর নাগরিকদের। খড়ার পৌরসভার চেয়ারম্যান সন্ন্যাসী দোলই জানান, নতুন কোন এই ধরনের কর্মসূচি চালু হয়েছে বলে তাঁর জানা নেই! খড়ার পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার বামাপদ মাইতি ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও, মৌখিকভাবে তিনি জানিয়েছেন যে- তাঁকে বদনাম করার জন্য এই পোস্টারিং করা হয়েছে। তবে, পৌর পরিষেবা নিয়ে খড়ার পৌর নাগরিকদের মধ্যে যে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে, তা ‘পোস্টার’ থেকেই স্পষ্ট! এমনটাই বলছেন বিরোধী রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকরা।