দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ জানুয়ারি: ফের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বা পরকীয়া (Extramarital Affair/Adultery)’ অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুরে। এবার, ঘটনাস্থল খড়্গপুর গ্রামীণ থানার গোপীনাথপুর এলাকা। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ অনুযায়ী, ডেবরা থানা মহাবিদ্যালয়ের বি.এ জেনারেল (পাস কোর্স) বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টার (তৃতীয় বর্ষের) এর ছাত্রী অর্চনা ভঞ্জ গত ৩ জানুয়ারি কলেজ যাওয়ার নাম করে ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান। এরপর, শ্বশুরবাড়ি ও বাপেরবাড়ির তরফে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। না পেয়ে ৪ জানুয়ারি নাগাদ খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় বাপের বাড়ির তরফে ‘নিখোঁজ’ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু, খোঁজ মেলেনি। অবশেষে, অর্চনা নিজেই নিজের ‘খোঁজ’ (বার্তা) দিলেন ৪ জানুয়ারি বিকেল ৫ টা ২০ নাগাদ! মায়ের মোবাইলে মেসেজ (SMS) করে অর্চনা জানিয়েছেন, “আমি বাইরে চলে এসেছি। যেখানে আছি ঠিক আছি। আমি ওদের সঙ্গে থাকতে পারবো না। তাই, যার সঙ্গে থাকতে পারব তার কাছে আছি।” তবে, কোথায় আছেন, কিংবা কার সঙ্গে আছেন তা জানাননি অর্চনা। তবে, নিজের মোবাইল নম্বর থেকেই মেসেজ করেছেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এ নিয়ে রবিবার খড়্গপুর লোকাল থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত একমাস যাবত সারা রাজ্যের সাথে সাথে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও যেন পরকীয়ার ঝড় উঠেছে! সেই তালিকায় নবতম সংযোজন বছর ২১’র কলেজে পাঠরতা গৃহবধূ। জানা গেছে, মাত্র পাঁচ মাস আগেই খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত গোপীনাথপুর এলাকার এক যুবকের সাথে বিয়ে হয় অর্চনার। প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে কাঁয়তা গ্রামে বাপের বাড়ি অর্চনার। ডেবরা কলেজের বি.এ জেনারেল কোর্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অর্চনা বিয়ের পরেও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন শ্বশুরবাড়িতে। পুত্রবধূর ইচ্ছে ফেরাতে পারেননি অর্চনার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মিলেছিল কলেজে পড়ার অনুমতি। পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী স্বামীর সঙ্গে একপ্রকার সুখেই ঘর করছিলেন অর্চনা। অর্চনার আত্মীয়রা জানান, তাঁদের মধ্যে কোনও অশান্তিও ছিলনা! তবুও, প্রেমে না প্রলোভনে পা দিল একুশবর্ষীয়া অর্চনা? নাকি অপহরণ? যদিও শেষেরটার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে! তবে, অর্চনা কোথায় আছে, কি করছে তা জানার জন্য উৎকণ্ঠিত তাঁর বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। এমনকি, রবিবার অর্চনার মামা ফোনে জানালেন, “ও যা চাইবে আমরা তাই মেনে নেব। ওর স্বামীও তাই বলেছে। সে শুধু বলছে, ও যদি অন্য কারুর সাথে ঘর করতে চায়, করুক। তবে, তাকে যেন ডিভোর্সটা দিয়ে যায়! আমরাও চাই, যা বলার আমাদের মুখোমুখি এসে বলুক।” কি করবে অর্চনা? আগামী কয়েকদিনে হয়তো বোঝা যাবে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…