দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ অক্টোবর: কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকীর খুনের বিষয়ে এবার মুখ খুললেন অভিনেতা তথা খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরে দাঁড়িয়ে সুবীরের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “আমার সাথে আর্বানাতে প্রত্যেকবার পুজোর মন্ডপে দেখা হত ওনার। পুজোর মন্ডপে আমরা সবাই একত্রিত হয়ে কথা বলি। এবারও শুক্রবার আমরা বিজয়া দশমী করতে গিয়েছিলাম। সিঁদুর খেলাও হয়েছিল। সেখানে ওনার সাথে দেখা হলো। উনি বললেন মা তোমার কথা জিজ্ঞাসা করছিলেন! আমি বললাম, এখন আমি খড়্গপুরে থাকি। নবমীর দিন সন্ধ্যেবেলায় এসেছি। আজ এই মণ্ডপে এসেছি। উনি খড়গপুর আইআইটির ছাত্র ছিলেন, আমি শুনে খুব খুশি হলাম। সে নিয়ে অনেক কথা হল। কি করে খড়্গপুরের উন্নয়ন করা যায়!” এদিন, হিরণ এও জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যে আইআইটি’র প্রাক্তনীদের চিঠি করেছি বলে ওনাকে জানালাম। প্রাক্তনীরা কিভাবে খড়্গপুরের উন্নয়নের জন্য আমাদের সাহায্য করতে পারে, তা আলোচনা হল। উনি ১৯৮৩’র ব্যাচ। বললেন, চিঠিটা আমায় ফরওয়ার্ড করো। আমার গ্রুপে যারা আছে আমি তাদের পাঠাবো, কি করে খড়্গপুরের উন্নয়ন করা যায়। প্রায় এক ঘন্টার উপরে আলোচনা হয়েছে।” খড়্গপুরের উন্নয়নে সামিল হতে চাওয়া সেই সুবীরের হত্যা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বিধায়ক হিরণ।
খড়্গপুরের উন্নয়নের বিষয়ে সুবীর চাকী’র সাথে কথা বলা ছাড়াও ছবি তোলার কথাও জানিয়েছেন হিরণ। হিরণ জানিয়েছেন, “বিকেলের দিকে উনি আমাকে মেসেজ করে বললেন, এইসব বিষয়ে পরে আরও কথা হবে। তার পরের দিন একাদশী, আমি রবিবার খড়্গপুর চলে এলাম। সোমবার সকালে আমাকে অনিন্দিতা ফোন করে জানালেন, এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে বলে। আমি বললাম এটা হতেই পারে না! সুবীরদার মত এত ভালো ভদ্র মানুষ, প্রতিবার দুর্গা পূজার সময় মন্ডপে দেখা হয়, কথা হয়, গল্প হয়। সেই মানুষটার পৃথিবীতে কেউ শত্রু থাকতে পারে, আমরা ভাবতেও পারিনা! আমরা প্রচন্ড মর্মাহত হয়ে গিয়েছিলাম। কনফার্ম করার চেষ্টা করেছিলাম। এটা আমাদের সেই সুবীর দা কি না! তারপর, দুপুরের দিকে আমরা জানতে পারলাম, হ্যাঁ আমাদের সেই সুবীর দাই। সুবীরদা আমাদের মাঝখানে নেই! আজ তিনদিন হয়ে গেল, এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না! শুক্রবার যে মানুষটার সাথে এতক্ষণ কথা বলেছি। এত কিছু আলোচনা করেছি। এত ভবিষ্যৎ প্ল্যানিং করেছি সেই মানুষটা আজ আমাদের মধ্যে নেই! আমাদের আর্বানার সবাই ওনাকে চেনেন। সুবীরদা এত ভালো, এত ভদ্র, এত জেনুইন মানুষ, এত মিষ্টি ভাষী। খুব কম কথা বলতেন উনি। সেই মানুষটার কেউ শত্রু থাকতে পারে! তাঁকে এবং তাঁর ড্রাইভারকে এরকম নৃশংস ভাবে কেউ হত্যা করতে পারে! আমরা এখনও কেউ কল্পনা করতে পারছিনা। সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতেই হবে! না হলে এই সমাজে আমাদেরও বাঁচতে ভয় করবে! জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। সেন্ট্রাল কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতার বুকে এরকম একটা হত্যা, আমরা এখনো কল্পনা করতে পারছিনা! ওনার এবং ওনার গাড়ির চালকের আত্মার শান্তি কামনা করি!” ইতিমধ্যে, পুলিশ যদিও খুনের কিনারা করে ফেলেছে। সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলকে খুনের দায়ে মিঠু হালদার নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছেলে ভিকি-কে নিয়ে এই ‘জোড়া হত্যা’র ছক কষে মিঠু। যদিও ভিকি এখনও ফেরার! তবে, খুব শীঘ্রই পুলিশ তাঁকেও গ্রেফতার করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…