thebengalpost.net
সহায়ক মূল্যে ধান কিনবে সরকার (প্রতীকী ছবি):

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ নভেম্বর: আজ, বুধবার (১ নভেম্বর) থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। প্রতিশ্রুতি মতোই সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে প্রতিটি জেলায়। পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩০টি স্থায়ী কেন্দ্র থেকে ধান কেনা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। এছাড়াও চারটি থাকছে ভ্রাম্যমান সিপিসি। এছাড়াও, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কেনার জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত জেলার ৮৬-টি সঙ্ঘকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ধান কেনার জন্য সঙ্ঘের মহিলাদের কুইন্টাল প্রতি ৩১ টাকা ২৫ পয়সা করে কমিশন দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এর ফলে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের যেমন লক্ষ্মীলাভের সুযোগ থাকছে, ঠিক তেমনই কৃষকরাও সহজেই সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির সুযোগ পাবেন।

thebengalpost.net
সহায়ক মূল্যে ধান কিনবে সরকার (প্রতীকী ছবি):

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মরশুমে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লক্ষ ১৩ হাজার মেট্রিক টন। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার পর এবছর তা বাড়িয়ে ৪ লক্ষ ৭ হাজার মেট্রিক টন করা হয়েছে। জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরী বলেন, “এই মরশুমে কুইন্টাল পিছু ২১৮৩ টাকা দরে ধান কিনবে সরকার। ধান্য ক্রয় কেন্দ্র কিংবা মোবাইল সিপিসিতে ধান বিক্রি করলে উৎসাহ ভাতা বাবদ আরও ২০ টাকা করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ কুইন্টাল পিছু ২ হাজার ২০৩ টাকা দরে ধান কিনবে সরকার।” এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, এতদিন চাষিরা সিপিসিতে সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারতেন। কিন্তু, এবছরই প্রথম উৎপাদনের নিরিখে ও জমির পরিমাণ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা।

অন্যদিকে, সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে ‘ভুয়ো’ চাষিদের ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জেলার খাদ্য নিয়ামক অরবিন্দ সরকার বলেন, “চাষিকে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে। চাষি নিজে ই-পপ মেশিনে আঙুলের ছাপ দিলে তবেই ধান বিক্রি করতে পারবেন। তাঁর জায়গায় অন্য কেউ এলে হবে না। তাছাড়া, কেউ অতিরিক্ত ধান বিক্রি করছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে জমির পরিমাণও খতিয়ে দেখা হবে। চাষির নিজের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক।” কিন্তু, চাষিদের অনেকক্ষেত্রে মেশিনে আঙুলের ছাপ দেওয়ার খেতে সমস্যা দেখা যায়। এই বিষয়ে জেলার খাদ্য নিয়ামক বলেন, “এক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ না পাওয়া গেলে চোখের মনি স্ক্যান করার যন্ত্র থাকছে। সমস্যা হওয়ার কথা নয়।” বিভিন্ন মহলের দাবি, এবছর তো এখনও সেভাবে ধান কাটা শুরুই হয়নি; তাহলে ধান কেনার ক্ষেত্রে এত তাড়াহুড়ো কেন? দপ্তরের কর্তাদের দাবি, ধান বিক্রির আগে রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয়। চাষিরা এখন থেকেই যাতে সেই কাজ এগিয়ে রাখতে পারেন, তাই ১ নভেম্বর থেকেই ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।