দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ ডিসেম্বর: জন্ম থেকেই ‘নির্বাক’ (মুক/বোবা) দু’জনই। মার্ক জুকারবার্গ (ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা) না থাকলে হয়তো হতোনা প্রেমও! আসলে পশ্চিম মেদিনীপুরের মুক-কন্যার সঙ্গে নদিয়ার যুবকের ‘মন’ দেওয়া-নেওয়া ফেসবুকের দৌলতেই। আর সেই প্রেমের টানেই সোমবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে পাড়ি দিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির নাবালিকা। মেয়েকে বাড়িতে না পেয়ে, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন বাবা-মা। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে মুক-যুগলকে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই পাকড়াও করে কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে নাবালিকা ও তার প্রেমিককে কৃষ্ণনগর থেকে কেশিয়াড়ি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। বুধবার তাদের আদালতে তোলা হয়।

প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ি থানা এলাকার পনেরো বছরের এক নাবালিকা গত সোমবার বাড়ি থেকে হঠাৎই নিখোঁজ হয়। নাবালিকা জন্ম থেকেই নির্বাক অর্থাৎ বোবা। পরিবারের লোকজন পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নাবালিকাকে নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে কেশিয়াড়িতে। একইসঙ্গে এক মুক যুবককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকেও কেশিয়াড়িতে আনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত রাহুল বৈদ্যের বাড়ি কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালী থানার অধীন অরবিন্দনগর এলাকায়। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফেসবুক মাধ্যমেই দু’জনের যোগাযোগ। প্রেম। সেই টানেই সোমবার সটান কৃষ্ণনগর পাড়ি দেয় কেশিয়াড়ির কিশোরী। পুলিশ নাবালিকার মোবাইল ফোন নম্বর ট্র্যাক করে এবং সমাজমাধ্যমে তার সর্বশেষ অবস্থান খুঁজে বের করে নাবালিকার অবস্থান জানতে পারে। তারপরই (সোমবার রাতে) রওনা দেয় কৃষ্ণনগর। হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় দু’জনকেই। মঙ্গলবার রাতে নিয়ে আসা হয় কেশিয়াড়িতে। পুলিশের ভূমিকায় খুশি পরিবার! যুগলের ‘নির্বাক-প্রেম’ এর পরিণতি? উত্তর দেবে ভবিষ্যত।