দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ এপ্রিল:পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহর মেদিনীপুরের উপকন্ঠে কেরানীচটি থেকে শালবনীর গোদাপিয়াশাল পর্যন্ত, ৬০ নং জাতীয় দুই ধারে কয়েকশো একর জমি বেআইনি ভাবে নাম পরিবর্তন করে বেহাত করা হয়েছে! একর একর সরকারি জমি দখল করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ নির্মাণ, হোটেল, রেস্টুরেন্ট। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে সিআইডি তদন্ত-ও। জমি হাঙরদের বিরুদ্ধে শালবনী থানায় জালিয়াতি, প্রতারণার স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও রুজু করা হয়েছে। অভিযোগ, বিএলআরও বিভাগের একাংশ আধিকারিকের মদতেই এই সমস্ত বেআইনি কর্যকলাপ হয়েছে। ইতিমধ্যে, শালবনীর পূর্বতন বিএলআরও-কে জমি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অপরাধে বদলিও করে দেওয়া হয়েছে। তবুও, চলেছে অবৈধ নির্মাণ, কালো ছাই দিয়ে জমি ও জলাশয় ভরাট, বেআইনিভাবে জমির চরিত্র বদলের চেষ্টা! কার বা কাদের মদতে চলছে এসব? কেনইবা এতো ঢিমেতালে চলছে সিআইডি তদন্ত? এখনও কেউ গ্রেফতারই বা হলোনা কেন? বিরোধীর এনিয়ে শাসকদলের মদতের অভিযোগ করলেও, এ নিয়ে স্পষ্টত সরব হতে দেখা গেছে এবং দেখা যাচ্ছে খোদ শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বকেই। ইতিমধ্যে, কর্ণগড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সীতারামপুর থেকে বাড়ুয়া অবধি ৬০ নং জাতীয় সড়কের দুই পার্শ্বস্থ একর একর জমি বেআইনিভাবে ভরাট করার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ওই পঞ্চায়েতের প্রধানকে চিঠি দিয়েছেন শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ। তা সত্ত্বেও কালো ছাই ফেলে অবৈধভাবে কৃষি জমি ও জলা জমি ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে, কর্ণগড়ের প্রধান প্রতাপ জাশু জানিয়েছেন, “সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আগেই জানানো হয়েছে। এখন যারা জমি ভরাট করছে, তারা তাদের বৈধ জমি এনওসি নিয়েই ভরাট করছে!” ফলে, অন্যায় হলেও, দেখার মতো বা রোখার মতো কেউ নেই বলেই মত বিরোধীদের। অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, কয়েকশো একর অন্যের জমি বা সরকারি জমি দখল করেও, অন্যায়কারীরা যদি এখনও বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে বা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে, তবে অবৈধভাবে জমি ভরাটে আর কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে! কেই বা ব্যবস্থা নেবে। এনিয়ে, জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা একটিও কথা বলতে রাজি হননি! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাপার! আমাদের কিছু বলার নেই।” জানা যায়, চরম দুর্নীতি করে এই সমস্ত জমি দখল করার অভিযোগ আছে রাজ্য সরকারের কাছেও। তাই, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, সেই তদন্তের গতি এতো শ্লথ (ধীর) কেন? বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি অরূপ দাস জানিয়েছেন, “সর্ষের মধ্যেই ভূত আছে! রাঘব বোয়ালদের আড়াল করতেই তদন্ত হচ্ছে লোকদেখানো। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তাতে শাসকদলের নেতারা জড়িত নন, তা আবার হয় নাকি!” অথচ, শাসকদলের জেলা যুব সভাপতি তথা শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ জানিয়েছেন, “আমি এ নিয়ে বারবার সরব হয়েছি। যেখানে যেখানে জানানোর সব জায়গায় জানিয়েছি। কিছু ক্ষেত্রে সুবিচার পাওয়া গেছে। নিজেদের জমি ফেরত পেয়েছেন প্রকৃত জমি মালিকরা। তবে, তা খুবই নগণ্য! সঠিকভাবে তদন্ত হলে কয়েকশো একর জমি ফেরত পাওয়া সম্ভব।” সম্প্রতি, কালো ছাই দিয়ে কৃষি জমি ও জলা জমি ভরাটের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন সন্দীপ। অন্যদিকে, শাসকদলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরাও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে জানিয়েছেন, “সঠিকভাবে তদন্ত হোক আমরাও চাই। এই ধরনের কেলেঙ্কারিতে কারা জড়িত, তা দ্রুত তদন্ত করে বের করুক সিআইডি। দ্রুত তদন্তের বিষয়ে আমি আগেও প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। আবারও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে চিঠি দিয়ে জানাবো, যাতে দ্রুত ও সঠিক তদন্ত হয়।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ নভেম্বর: আইআইটি (IIT)-র মতো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে অভাব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…