দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ মার্চ: বঙ্কিম থেকে রবীন্দ্রনাথ সহ সাহিত্যিকেরা ‘অসম-প্রেম’ নিয়ে ভালো-মন্দ নানা কথা লিখে গেছেন। তবে, অসম-প্রেমের কথা উঠলে গ্রাম বাংলায় অবশ্য দু’একটা কথা চলে- “পিরিতে মজিলে মন….” কিংবা “পিরিতি কাঁঠালের আঠা…”। ‘প্রেম’-কে ছোটো না করেই বলতে হয়, রবিবাসরীয় দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে যা ঘটলো, তা কিছুটা এরকমই। বয়সের প্রায় অর্ধেক (সন্তান-সম বললেও ভুল হয়না?) বছর ২০’র প্রেমিকের টানে কলকাতা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে হাজির বছর ৪০’র প্রেমিকা! তিনি আবার দুই সন্তানের মা। শনিবার সন্ধ্যায় প্রেমের টানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে বছর ২০’র প্রেমিকের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবংয়ে চলে আসেন ‘প্রেমিকা’ অর্থাৎ বছর ৪০’র ওই মহিলা। বিষয়টি জানাজানি হতেই খবর যায় পুলিশের কাছে। অবশেষে পুলিশের মধ্যস্থতায় রবিবার বিকেল নাগাদ বাড়ি ফেরেন প্রেমিকা। প্রেমিকও থানা থেকে ফেরেন তাঁর বাড়ি। দু’পক্ষকে থানায় নিয়ে গিয়ে মীমাংসা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে, ঘটনা ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

thebengalpost.net
প্রেমিক ও প্রেমিকা :

প্রসঙ্গত, প্রেমের টানে ২০ বছরের যুবকের বাড়িতে হাজির ৪০ বছরের দুই সন্তানের মা! শনিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যান সবং এর গ্রামের বাসিন্দারা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪০ বছর বয়সী দুই সন্তানের মায়ের সাথে সবং ব্লকের একটি গ্রামের ২০ বছরের যুবকের সাথে বছর খানেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যেমে আলাপ হয়। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে দু’জন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় যুবক কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। ফলে প্রেম ও ঘনিষ্ঠতা ক্রমেই বাড়ে! ৪০ বছরের মহিলা রবিবার পুলিশের কাছে দাবি করেন, ওই যুবক তাঁকে বিয়েও করেন। এরপর, দিন পনেরো আগে ওই যুবক গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। আর ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি! তাই, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ওই মহিলা চলে আসেন ওই যুবকের বাড়িতে। রবিবার সকালে এলাকায় জানাজানি হতেই সবং থানায় খবর দেওয়া হয়। সবং থানার পুলিশ এসে ওই মহিলা ও যুবককে সবং থানায় নিয়ে যান। আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আপাতত পুলিশকে জানিয়েছে দু’পক্ষ। তবে, আপাতত বুঝিয়ে বুঝিয়ে মহিলাকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। যুবকও ফিরে গেছেন তাঁর বাড়িতে। (ফিচার ইমেজ বা প্রচ্ছদের ছবি প্রতীকী ও সংগৃহীত।)