সমীরণ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ মার্চ: জঙ্গল বাঁচাতে হবে জীবজগতের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে। অরণ্য শুধু যে অক্সিজেনের এক এবং একমাত্র রসদ তাই নয়, অরণ্যে উপর নির্ভরশীল জগতের বাস্তুতন্ত্রও। সেই অরণ্য বা জঙ্গল-কে একদল অজ্ঞ, অর্বাচীন, সঙ্কীর্ণচেতা মানুষ জ্বালিয়ে শেষ করে দিচ্ছেন আদিম স্বার্থ পূরণের তাগিদে কিংবা নেহাতই পৈশাচিক উল্লাসে মেতে ওঠার জন্য। আদতে তাঁরা যে নিজেদের ভবিষ্যৎ সভ্যতা-কেই জ্বালিয়ে, পুড়িয়ে শেষ করছেন, তা হয়তো তাঁরা টেরই পাচ্ছেন না! বারবার সচেতন করেও লাভ হচ্ছে না। বসন্তের শুরু থেকেই জ্বলছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তের জঙ্গল। তার সঙ্গে এই সময়ে আছে শিকারিদের উপদ্রবও। তাই, বনদপ্তরের উদ্যোগে, রবিবার খড়্গপুরের হিজলী থেকে শালবনীর আড়াবাড়ি অবধি, প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তা সাইকেল র্যালি’তে অংশগ্রহণ করলেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। উদ্দেশ্য একটাই, আবারও একবার সাধারণ মানুষকে এই বার্তা দেওয়া যে, পরিবেশের স্বার্থে, বাস্তুতন্ত্রের স্বার্থে জঙ্গলে আগুন লাগাবেন না; জঙ্গলে স্বীকার করবেন না বা বন্যপ্রাণীদের হত্যা করবেন না।
রবিবার সকালে, পশ্চিম চক্রের মুখ্য বনপাল শ্রী অশোক প্রতাপ সিং এর উপস্থিতিতে এবং মেদিনীপুর, খড়্গপুর ও রূপনারায়ণ বনবিভাগের তিন আধিকারিক (DFO) যথাক্রমে, সন্দীপ বেরওয়াল, শিবানন্দ রাম, মনীষ কুমার যাদবের উদ্যোগে এই সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়। অংশগ্রহণ করেন ভাদুতলার রেঞ্জ অফিসার পাপন মোহান্ত, গোদাপিয়াশালের রেঞ্জ অফিসার বিশ্বজিৎ মাল, আড়াবাড়ির রেঞ্জ অফিসার মলয় কুমার ঘোষ সহ বনদপ্তরের কর্মীরা। সাইকেল র্যালির মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়, ‘নিজেদের স্বার্থে, প্রকৃতির স্বার্থে, পরিবেশের স্বার্থে জঙ্গলে আগুন লাগাবেন না’ এবং ‘জঙ্গলে শিকার করবেন না’। সুন্দরী এই প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে, সর্বোপরি নিজেদের এবং পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে অরণ্য বা জঙ্গল-কে সবুজ-সজীব রাখতে হবে। বাঁচিয়ে রাখতে হবে বন্যপ্রাণীদের। রবিবার বনদপ্তরের পক্ষ থেকে ফের একবার এই বার্তা দেওয়া হল। যেভাবে পরপর জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, নিছকই সংকীর্ণ স্বার্থ পূরণের তাগিদে, তাতে একদিকে যেমন সবুজ কচি চারা ধ্বংস হচ্ছে, ঠিক তেমনই জঙ্গলের মধ্যে থাকা ছোট ছোট পশু-প্রাণীরা দগ্ধ হচ্ছে! আর, এতেই ভেঙে পড়ছে সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র। আগামীদিনে যার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে বলে বনদপ্তর ও বন্যপ্রাণী গবেষকদের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে। তবে, বারবার একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়ার ফলে, আগের তুলনায় ‘শিকার’ অনেকটাই কমেছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। কিন্তু, জঙ্গল জ্বালানোর আদিম প্রবৃত্তি কিছুতেই কমছে না! অজ্ঞ-অর্বাচীন মনুষ্যসমাজের বোধোদয়ের অপেক্ষাতেই এখন বনদপ্তর ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…