দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ এপ্রিল:অবশেষে তিনি এলেন। আছড়ে পড়লেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে। ক্ষণিক আগমণেই বিপর্যস্ত হল দাঁতন ১ নম্বর ব্লকের তররুই, মনোহরপুর, দাঁতন এলাকা। বড় বড় গাছ পড়ে গিয়ে অবরুদ্ধ হল জাতীয় সড়ক। ঝড় আর শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে গরমের তীব্র দাবদাহ থেকে স্বস্তিও মিললো মেদিনীপুর বাসীর! হ্যাঁ, এই মরশুমে দক্ষিণবঙ্গ তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রথম কালবৈশাখী শনিবার বিকেল ৫ টা ২০ নাগাদ আবির্ভূত হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন এলাকায়। নববর্ষের ঠিক পরেরদিনই বছরের প্রথম কালবৈশাখীর আগমনে একদিকে যেমন স্বস্তির হাওয়া, অন্যদিকে, ঝড়ের দাপটে ক্ষণিকের জন্য অবরুদ্ধ হয় জাতীয় সড়ক। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী’র সদস্যরা পৌঁছে জাতীয় সড়ক থেকে গাছপালা সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তাপপ্রবাহের সতর্কতার সাথে সাথেই শনিবার ও রবিবার ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ দক্ষিণবঙ্গে। এরপর, শনিবার বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর-খড়্গপুর সহ কিছু এলাকায় মেঘের গর্জন শোনা গেলেও, ‘বর্ষণ’ তেমন হয়নি! বরং দু’এক পশলা বৃষ্টি অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই পূর্ণ শক্তি নিয়ে, কালবৈশাখী ঝাঁপিয়ে পড়ে দাঁতন এলাকায়। প্রায় আধঘন্টা ধরে চলে ঝড়, শিলাবৃষ্টির দাপট। ক্ষণিকের জন্য স্বস্তি ফিরে আসে দাঁতন সহ জেলার বেশিরভাগ অংশ জুড়ে। তবে, জাতীয় সড়কের উপর বড় বড় গাছ পড়ে বেশ কিছু সময়ের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাস্তা। পরে, স্থানীয়দের সহায়তায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এসে রাস্তা পরিষ্কার করে।