তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ ডিসেম্বর: আগষ্ট মাসে বন্যার জল ঢুকেছিল ঘাটাল উপ সংশোধনাগারে। বন্দীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। কয়েকদিন পর বন্যার জল সরলেও জেলখানা চালু হয়নি আজও। এদিকে, ঘাটাল উপ সংশোধনাগার চালু না হওয়ায়, জামিনে মুক্ত ব্যক্তিকে জেলখানা থেকে বের করে আনতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আইনজীবী থেকে পরিবারের লোকদের। কারণ, ঘাটাল থেকে মেদিনীপুরের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। আইনজীবীদের দাবি এই দীর্ঘ রাস্তা যাতায়াত করতে একদিকে যেমন অর্থের অপচয়, অপরদিকে সময়েরও অপচয় হচ্ছে। সাথে সাথে জামিনে মুক্ত ব্যক্তিকে সেই দিনই জেলখানা থেকে বের করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১ আগস্ট বন্যায়, শিলাবতী নদীর জল ঢুকে পড়ে ঘাটাল মহকুমা শাসকের কার্যালয় সহ উপ সংশোধনাগারে। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ঘাটাল উপ সংশোধনাগারের বন্দীদের। বন্যার জলের চাপে ভেঙে পড়ে প্রাচীরের কিছু অংশ, নষ্ট হয় জেনারেটর সহ ইলেকট্রিক লাইন। পাঁচ মাস কেটে গেলেও এখনও চালু হয়নি ঘাটালের উপ সংশোধনাগার। এই বিষয়ে ঘাটাল জেল সুপার তথা ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “বন্যার জলে জেলখানার প্রাচীরের কিছু অংশ ভেঙে গিয়েছে, বিদ্যুৎ লাইন ও জেনারেটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্য দপ্তরে একটি এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।”