thebengalpost.net
রাজ্যপালের 'হাতে খড়ি' ইস্যুতে কটাক্ষ দিলীপের:

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২৭ জানুয়ারি:”আমরা জানি যে অজ্ঞান, পৃথিবী সম্বন্ধে কোনো জ্ঞান নেই; তারই হাতেখড়ি হয়। ইনি সব গেছেন। তার আবার হাতে খড়ি! এতো হয়না। আমাদের দেশের কিছু পদ্ধতি আছে। বাচ্চাদের হাতে খড়ি হয়। হাতে খড়ি বা কলম দেওয়া হয়। একেই হাতে খড়ি বলা হয় বাংলায়। বাকি জায়গায় বলা হয় বিদ্যা রম্ভোম। কেরালাতেও হয়। উনিতো বিদ্বান ব্যক্তি একজন। তার এই অনুষ্ঠান করে হাতে খড়ি করাটা একটু বেশি বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে!” শুধু তাই নয়, শুক্রবার খড়্গপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপালের ‘হাতে-খড়ি’ অনুষ্ঠানকে ঘিরে আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, “এই ধরনের ড্রামা করাটা আমার মনে হয় রাজ্যপালের সভা পায় না। অন্যের বুদ্ধিতে উনি পরিচালিত হচ্ছেন। রাজ্যপালের পদ খুব গরিমাময় পদ। সাংবিধানিক পদ। এসব ছোটখাটো জিনিসের ভেতরে না যাওয়া উচিত। উনি দুনিয়ার অনেক জ্ঞান জানেন। উনি বাংলায় একসময় চাকরি করতেন। ব্যাংকের চাকরি করতেন। হয়তো বাংলা কমবেশি জানেন। আমাদের দেশেতে বহু লোক বহু ভাষা জানেন। তার জন্য অনুষ্ঠান করা দরকার হয় না। ভাষা শেখাটা আমাদের দেশে একটা সিস্টেমের মধ্যে আছে। সবার শেখা উচিত, তাতে জাতীয় সংহতি দৃঢ় হয়।”

thebengalpost.net
রাজ্যপালের ‘হাতে খড়ি’ ইস্যুতে কটাক্ষ দিলীপের:

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরে সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে খড়্গপুর শহরের বোগদা এলাকায় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে চা চক্র করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিকে, বৃহস্পতিবার, সরস্বতী পুজোর দিন রাজ্যপালের ‘হাতে খড়ি’ অনুষ্ঠান এবং ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের বিষয়ে মুখ খোলেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বলেন, “ভালো হলো, উনি বাংলা শেখার আগে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মালায়ালাম শিখে গেলেন! এটা রাজ্যপালের একটা বড় কৃতিত্বের ব্যাপার।” ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের বিষয়ে বলেন, “যদি সরকার দিতে পারে, তাহলে উনি কেন দিতে পারেন না! উনি তো সরকারের সঙ্গে আছেন। বিধানসভায় ওনাকে বলতে হয় মাই গভর্নমেন্ট।” ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের পর রাজ্যপালের কি দিল্লিতে ডাক পড়েছে? সে ব্যাপারে দিলীপ বলেন, “আমি জানিনা এই ব্যাপারে। আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কে ডেকেছে, কি বলেছে। তবে, আমরা জানি যার হাতে খড়ি হয়, সে হয় অজ্ঞান। পৃথিবীর সম্বন্ধে তার কোনো জ্ঞান থাকেনা। ইনি সব জেনে গেছেন, তার আবার হাতে খড়ি! জানিনা, কে বুদ্ধি দিয়েছে ওনাকে। এগুলো করাটা ওনার সভা পায় না।”