thebengalpost.net
সবিতা লায়েক ও তাঁর পরিবার:

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ আগস্ট:”ধন্যবাদ জানাই মুখ্যমন্ত্রীকে!” মন্ত্রিসভা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা বিধানসভার নির্বাচিত বিধায়ক তথা প্রাক্তন পুলিশ অফিসার (আইপিএস) হুমায়ূন কবীর-কে সরিয়ে দেওয়ায় উচ্ছ্বসিতা ডেবরা’র ‘শবর কন্যা’ সবিতা লায়েক। বুধবার মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হুমায়ূন কবীর-কে, বৃহস্পতিবার সবিতা আমাদের জানিয়েছেন, “হুমায়ূন কবীর চাকরি দেওয়ার নামে আমার সাথে প্রতারণা করেছেন। চাকরি দেওয়ার নামে উনি ওনার বাড়িতে আমাকে পরিচারিকার কাজ করিয়েছিলেন। আমার জাতপাত তুলে গালাগালি করেছিলেন। তখন আমি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের লড়াই ছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম সুবিচার করুন। মুখ্যমন্ত্রী সেটা করেছেন। আমাদের পরিবার খুব খুশি হয়েছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের উপর যে এত অত্যাচার হচ্ছে। আমার মত অনেকের সাথেই এমন প্রতারণা হচ্ছে। এরকম মুখ্যমন্ত্রী থাকলে আমাদের সুবিচার হবে।”

thebengalpost.net
প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ূন কবীর:

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার অন্তর্গত ব্রাহ্মণ শাসন গ্রামের সবিতা লায়েক নামে এক তরুণী মাসদুয়েক আগে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছিলেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক তথা কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত (সদ্য প্রাক্তন) মন্ত্রী হুমায়ূন কবীরের বিরুদ্ধে। সবিতা সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে মন্ত্রী হুমায়ূন কবীরকে সরিয়ে দেওয়াই তাঁরা সুবিচার পেয়েছেন বলে সবিতা’র পরিবারের সকলে জানিয়েছেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ূন জানিয়েছেন, “সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা এবং সাজানো। তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ওঁকে পরে কাজে যোগদান করতে বললেও, করেননি! বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। আমি পুলিশে কাজ করতাম, আমি মস্তান নই যে এই সমস্ত কাজ করব। আর মন্ত্রিসভার রদবদলের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।” একই কথা জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি-ও। তাঁর মতে, “মুখ্যমন্ত্রী কখন রদবদল করবেন, কিভাবে করবেন এ নিয়ে কারুর কিছু বলার নেই।”

thebengalpost.net
সবিতা লায়েক ও তাঁর পরিবার:

এদিকে, ‘প্রথম’ আদিবাসী কন্যা হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মু দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিকে রাজনৈতিক মহল ‘মাস্টার স্ট্রোক’ বলে মনে করছে। আর, তারপরই নিজের মন্ত্রিসভার আদিবাসী কন্যা বীরবাহা হাঁসদা-র ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলেরই একাংশ। বন প্রতিমন্ত্রী’র দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা এবার থেকে স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন। ঠিক একইভাবে এক আদিবাসী কন্যা’র অভিযোগের ভিত্তিতেই ডেবরার বিধায়ক হুমায়ূন কবীরকে অপসারণ করা হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাত’কে ক্ষুদ্র, মাঝারি, কুটির শিল্প ও বস্ত্র দপ্তর থেকে সরিয়ে ক্রেতা সমবায় দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।

thebengalpost.net
বীরবাহা হাঁসদা: