দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ নভেম্বর: একেই বোধহয় বলে ‘বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো’! কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ আসার পরই, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহর মেদিনীপুর আর রেল শহর খড়্গপুরে ‘বাজি বিক্রি’ নিয়ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। বাজারে বাজারে চলছে অভিযান। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে কেজি কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি ও আতসবাজি। তার পরেও, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে দুই শহরেই চলছে বাজি বিক্রি! মেদিনীপুর শহরে তো রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেওয়া বুদ্ধি ফেঁদেছেন ছোটো ছোটো বাজি ব্যবসায়ীরা। সাইকেলে ‘আইসক্রিমের পেটি’ বসিয়ে একেবারে দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে বাজি বিক্রি করছেন তাঁরা। শনিবার ও রবিবার শহরের বল্লভপুর, বাড়মানিকপুর থেকে শরৎপল্লী, বিধাননগর প্রভৃতি বিভিন্ন এলাকার ওলিতে-গলিতে দেখা মিলেছে এঁদের। শুধু আতসবাজি নয়, শব্দবাজিও পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাড় মানিকপুরের এক যুবক। অন্যদিকে, এক যুবক তো আবার অভিনব পদ্ধতিতে এই বাজি-বিক্রির ছবিও তুললেন তাঁর ক্যামেরায়! এনিয়ে অবশ্য পুলিশ জানিয়েছে, “পুলিশও তৎপর রয়েছে। হাতেনাতে ধরতে পারলেই হাতকড়া পরানো হবে!”
অন্যদিকে, কোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে খড়গপুর শহরেও রমরমিয়ে চলছে বাজি ব্যবসা। খড়গপুর শহরের কৌশল্যায় পুলিশ ফাঁড়ির নাকের ডগায় সুপার মার্কেটে চলছে বাজি ব্যবসা। রবিবার সন্ধ্যায় এমনই মারাত্মক অভিযোগ করলেন এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়া গেল সেখানে যেতেই। বেঙ্গল পোস্টের গোপন ক্যামেরায় তোলা হয়েছে সেই ছবি। কয়েকদিন আগেই হাইকোর্ট বাজি ব্যবসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু খড়্গপুরের বাজি ব্যবসায়ী সেই নিষেধাজ্ঞা না মেনেই রমরমিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে বাজির ব্যবসা। সুপার মার্কেটের কিছুটা দূরে রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ পুলিশ সবকিছু জেনেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।