দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ জানুয়ারি: টাকা না দিলে হবেনা চাকরি! সেই অভিযোগে ইতিমধ্যে উত্তাল হয়েছে গোটা রাজ্য থেকে দেশ। কলকাতা হাইকোর্টে জমেছে মামলার পাহাড়। চলছে সিবিআই তদন্ত। এবার, অবসরের আগেও টাকা চাওয়ার অভিযোগ! অভিযোগ, পেনশন তথা অবসরকালীন কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ ৪০ হাজার টাকা দাবি করছে! প্রতিবাদে ডিআই অফিসে ডিআই বা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের ঘরের (চেম্বারের) সামনেই ধর্না বসলেন শিক্ষিকা। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার। জেলার কেশপুর ব্লকে অবস্থিত কেশপুর গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবং ক্লার্ক (বা, গ্রুপ-সি কর্মী) এর বিরুদ্ধে অবসরকালীন বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়ার জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ তুললেন বিদ্যালয়েরই শিক্ষিকা নিবেদিতা সরকার। আগামী ৩১ মার্চ (২০২৩) তিনি অবসর গ্রহণ করবেন। তার আগে, পেনশন-পি.এফ-গ্র্যাচুইটি সহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়ার জন্য ৪০ হাজার টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মূলত বিদ্যালয়েরই গ্রুপ-সি কর্মী তুষার কান্তি দোলইয়ের বিরুদ্ধে। আর, তাঁকে মদত দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকা শ্যামলী মান্নার বিরুদ্ধে!

thebengalpost.net
ডিআই এর রুমের সামনে ধর্নায় শিক্ষিকা:

এদিকে, টাকা দিতে নারাজ মেদিনীপুর শহরের অশোকনগর এলাকার বাসিন্দা তথা কেশপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মশিক্ষার শিক্ষিকা নিবেদিতা সরকার। সেজন্যই গত ৮ মাস ধরে তাঁকে ঘুরতে হচ্ছে। এমনকি, টাকা না দেওয়ায় জন্য বিদ্যালয়ে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন তিনি! অভিযোগের তীর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার দিকে। তিনি ক্লার্ককে দিয়ে এই কাজ করাচ্ছেন বলে অভিযোগ এনেছেন নিবেদিতা দেবী। গত ৭-৮ মাস ধরে এই ঘটনা ঘটে চলেছে বলে তাঁর অভিযোগ। এই বিষয়ে একাধিকবার ডিআই বা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক চাপেশ্বর সর্দারের শরণাপন্ন হয়েছিলেন বলেও মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন তিনি। সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি দেখে, রীতিমতো ডি.আই-কে চিঠি লিখে জানিয়ে মঙ্গলবার বেলা ২ টোর পর তাঁর চেম্বারের সামনেই ধর্নায় বসে পড়েন শিক্ষিকা। বিকেল ৪ টা অবধি ধর্নায় বসার পর খবর পেয়ে পৌঁছন বেঙ্গল পোস্ট সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। তারপরই, নড়েচড়ে বসেন ডি.আই। বিদ্যালয়ের ক্লার্ককে অবিলম্বে ডেকে পাঠিয়ে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অপরদিকে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শ্যামলী মান্না-কে এই বিষয়ে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি।