thebengalpost.net
সুপ্রিম রায়ে আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে মানিক ভট্টাচার্য:

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ১৮ অক্টোবর: সিবিআই তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিৎ হয়নি! বরখাস্ত হওয়া ২৬৯ জন শিক্ষককেও নিজেদের বৈধ প্রমাণ করার সুযোগ দেওয়া উচিৎ ছিল! মঙ্গলবার মানিক ভট্টাচার্যের মামলার শুনানিতে এমনটাই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু’র নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তাই কলকাতা হাইকোর্ট তথা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই সম্পর্কিত সমস্ত অর্ডারের উপর চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেছে। তবে, সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তাঁরা। আগামী এক মাসের (চার সপ্তাহের) মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ওই রিপোর্টের উপর-ই নির্ভর করবে মানিক ভট্টাচার্য এবং বরখাস্ত হওয়া ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের ভবিষ্যৎ। অন্যদিকে, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ইডি’র পদক্ষেপ সংক্রান্ত বিষয়ে এদিন আদালতের তরফে হস্তক্ষেপ করা হয়নি। জানা যায়, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ করে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআই (CBI)-কে। সেই রিপোর্ট দেখে পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত। এছাড়া, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে হাইকোর্ট যে ২৬৯ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে তার ওপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে এঁদের নথি দিয়ে নিজেদের নিয়োগ বৈধ প্রমাণ করতে হবে। নইলে চাকরি থেকে বরখাস্ত হবেন তাঁরা। পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা। এই নির্দেশের আইনি বৈধতা খতিয়ে দেখবে আদালত। তবে, মানিক ভট্টাচার্যকে পদে ফেরানো যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

thebengalpost.net
সুপ্রিম রায়ে আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে মানিক ভট্টাচার্য:

প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা টেটের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় মানিক ভট্টাচার্য-কে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক। তাঁর যুক্তি ছিল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে তাঁক অপসারণের এক্তিয়ারই নেই আদালতের। এ ব্যাপারে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রথমে মামলাটি ওঠে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। পরে ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের রায় বহাল রাখলে সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন মানিক। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ আপাতত গেল মানিকের পক্ষেই! মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেয় যে,  মানিককে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করার যে সিদ্ধান্ত কলকাতা হাইকোর্ট নিয়েছিল, তা ঠিক ছিল না! তার আইনি বৈধতা খতিয়ে দেখা হবে। একইসঙ্গে, ২৬৯ জন শিক্ষককে বরখাস্ত করার আগে, তাঁদের বৈধ প্রমাণ করার সুযোগ দেওয়া উচিৎ ছিল বলে মত বিচারপতিদের। যদিও, কলকাতা হাইকোর্টে এটা প্রমাণিত হয়েছিল যে, ২৬৯ জন‌ শিক্ষককে অবৈধভাবেই নিয়োগ করা হয়েছিল! এদিনের রায় নিয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানাই। ওরা তদন্ত বন্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু, আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে তদন্ত চলবে। সিবিআই আদালতকে তাদের রিপোর্ট জমা দিক, তার পর যা বলার বলব।”