thebengalpost.net
অন্ধকার ওয়ার্ডে:

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ মে:অন্ধকার! জ্বলছে মোমবাতি কিংবা কেরোসিনের বাতি বা ল্যাম্প। গরমে হাঁসফাঁস করছেন রোগীরা! স্যালাইন হাতে রোগীরা তাই বাইরে বেরোতে বাধ্য হলেন। ঠিকাদার সংস্থা’র বিল বকেয়া প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। তার উপরে হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর খারাপ। মেরামত করতে লাগবে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু, টাকা কোথায়? ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের।

thebengalpost.net
চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল:

জানা যায়, চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের উপর শুধু চন্দ্রকোনা নয়, আশেপাশের গড়বেতা, কেশপুর সহ বেশ কিছু ব্লকের মানুষ নির্ভরশীল। গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালে রয়েছে সিজারিয়ান ব্যবস্থা। কিন্তু, এমনই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতলে ইলেকট্রিক চলে গেলে, অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয় হাসপাতালের ওয়ার্ড। কিন্তু, কেন বন্ধ জেনারেটর? খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালে রয়েছে দু’টি জেনারেটার, একটি হাসপাতালের নিজস্ব, অপরটি, ঠিকাদারি সংস্থার। কিন্তু, তারপরেও বিদ্যুৎ চলে গেলে হাসপাতাল চত্বর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরেই এই পরিস্থিতি চলছে। এদিকে, শুধু অন্ধকারই নয়, এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে রোগীদের। রোগীর পরিবার থেকে শুরু করে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানতে পারা যায়, বিদ্যুৎ চলে গেলে হাসপাতাল চত্বর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। স্যালাইন হাতেই হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে আসেন রোগীরা, একটু বাতাস পাওয়ার জন্য! এতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন রোগীরা।

thebengalpost.net
অন্ধকার ওয়ার্ডে:

কিন্তু, বিদ্যুৎ চলে গেলে কেন হাসপাতাল চত্বর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায়? কেন এই বেহাল অবস্থা? এই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন, চন্দ্রকোনা হাসপাতালে বিএমওএইচ স্বপননীল মিস্ত্রি। তিনি বলেন, “আমি এই হাসপাতালে নতুন এসেছি। ঠিকাদার সংস্থা’র ১৮ লক্ষ টাকা বিল বকেয়া আছে বলে জেনেছি। এদিকে, হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটরও সারাতে ৬০-৭০ হাজার টাকা লাগবে। বিষয়টি জানানো হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা জানিয়েছেন, “বিষয়টি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নজরে আনা হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।”