দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ জুলাই: পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। নামমাত্র বেতন। বাবা চাষবাস করেন। কোনোরকমে টেনেটুনে চলে যাচ্ছিল সংসার। হঠাৎ-ই উপরওয়ালার দয়া! দিলেন যখন একেবারে দু’হাত ভরে। কোটি টাকা! তবে, দুয়ারে ভগবান এসে রেখে যাননি! ভাগ্য ফেরানোর আশাতেই মাঝেমধ্যে লটারি কাটতেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার সিভিক কর্মী (Civic Volunteer) সুরজিৎ মান্না। ৯ জুলাই, শনিবার রাতেও মোবাইল অ্যাপ থেকে ডিয়ার লটারি কেটেছিলেন। রাত্রি নাগাদ আসে সুসংবাদ! কোটি টাকার সুখবরটা অবশ্য তখনই ফাঁস করেননি সুরজিৎ। এত টাকার ব্যাপার! দুঃশ্চিন্তাও ছিল। অবশেষে, রবিবার হাতে টাকা পাওয়ার পর, আসতে আসতে সকলে জানতে পেরেছেন।

thebengalpost.net
সুরজিৎ মান্না:

পিংলার গোবর্ধনপুর সংলগ্ন রাত্রাপুর গ্রামের বাসিন্দা সুরজিৎ। সিভিক ভলেন্টিয়ার এর কাজ করার পাশাপাশি সময় পেলে মেশিন ট্রলিও চালাতেন সৎ ও কর্মঠ এই যুবক। সুরজিতের বাবা চাষের কাজ করেন৷ সীমিত উপার্জন থেকে সঞ্চয় করেই দু’জনে মিলে বাড়ি তৈরির কাজেও হাত দিয়েছিলেন। বাড়িও সম্পূর্ণ হয়নি। এবার বাড়ির তৈরির খরচের জোগান নিয়েও দুশ্চিন্তা মিটল! পাশাপাশি বাবার চাষের কাজের সুবিধার জন্য একটি ধান কাটার মেশিন বা হার্ভেস্টার (দাম প্রায় ২৫-২৬ লক্ষ টাকা) কেনার পরিকল্পনাও করেছেন সুরজিৎ৷ নিজের ভাগ্য ফিরেছে, এবার বাবার ‘ভাগ্য’ ফিরিয়ে দেওয়াই স্বপ্ন সুরজিতের। এই ‘স্বপ্ন’ নিয়েই আবার সকলকে সতর্ক করে দিয়েছেন সিভিক কর্মী সুরজিৎ। জানিয়েছেন, “মাঝেমধ্যে টাকা বাঁচিয়ে লটারি কিনতাম। আপনাদের-ও বলছি, এই নেশায় আবার নিজেদের সর্বস্ব খুইয়ে দেবেন না!” এদিকে, সুরজিৎ-কে ঘিরে রীতিমত উৎসবের আবহ এখন পিংলার গ্রাম জুড়ে। ‌