দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৯ মে: একাধিকবার বিস্ফোরণ ঘটেছে তাঁর বাজি কারখানায়। কতজনের মৃত্যু হয়েছে তার হদিস নেই! মঙ্গলবারের (১৭ মে) ভয়াবহ বিস্ফোরণ অবশ্য নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা রাজ্যকে। ছিন্ন বিচ্ছিন্ন মৃতদেহ দেখে আঁতকে উঠেছিলেন স্বয়ং কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি.এস শিবজ্ঞানম! সেই ঘটনাতেই এবার মৃত্যু হল এগরার ‘বাজি-গর’ তথা খাদিকুল বিস্ফোরণ কান্ডের মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগের। কটকের হাসপাতালে মৃত্যু হল দগ্ধ ভানুর! বৃহস্পতিবার গভীর রাতে (শুক্রবার রাত্রি ২-টো নাগাদ) কটকের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভানুর মৃত্যু হয় বলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে। দেহের ৭-০-৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া ভানুর ‘কলা পাত’ ঢাকা অবস্থার ছবিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। নেটিজেনদের একটাই উক্তি, এ যাত্রায় পাপ ছাড়লোনা ভানুকেও!

thebengalpost.net
মৃত্যু হল ভানু বাগের:

জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ভানুর শেষকৃত্যের পর তাঁর ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ-কে হেফাজতে নেওয়া হবে। এগরা বিস্ফোরণ মামলায় ভানু, তাঁর পুত্র ও ভাইপো (ইন্দ্রজিৎ বাগ) তিনজনকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে মামলা দায়ের করেছিল সিআইডি। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের পর, সিআইডি ‘বিস্ফোরণ’ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছিল বলে জানা গিয়েছে। ভানুর মৃত্যু হওয়ায় বর্তমানে এই মামলার মূল অভিযুক্ত তাঁর ছেলে ও ভাইপো। ভাইপোকে ইতিমধ্যে ৮ দিনের সিআইডি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ এগরা ১নং ব্লকের সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিকুল গ্রামের উপকন্ঠে অবস্থিত ভানু বাঘের বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ৯ জনের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কলকাতার পিজি বা এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও ৩-৪ জন। বিস্ফোরণের পরই, দগ্ধ অবস্থায় বাইকে প্রায় দেড়শো-দুশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কটকে চলে যান ভানু। সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে ভানু জানিয়েছিলেন, পারিবারিক অনুষ্ঠানে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে, শেষ রক্ষা হলো না! এ যাত্রায় ‘বাজি-গর’ ভানুর সব খেলা শেষ হল! বৃহস্পতিবার গভীর রাতে (সময়ের হিসেবে শুক্রবার রাত্রি ২টো) কটকের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগের।