শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ ডিসেম্বর: কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও অনেক কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে বাংলার ১২ লক্ষ উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে আবাসের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খুশি মনে সেই টাকা তুলে বাড়ি ফিরছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরার সেক সুবেদ আলি। তাঁকে নজরে রেখেছিল ছিনতাইকারিও। হঠাৎই পেছন থেকে বাইকে করে এসে, সাইকেলের সামনের ঝুড়ি (বক্স) থেকে ছোঁ মেরে টাকার ব্যাগ নিয়ে উধাও হয়ে যায় এক যুবক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের গোলগ্রাম এলাকায়। ভরদুপুরেই মাথায় হাত পড়ে সুবেদ আলির! কাছের মানুষদের পরামর্শে দ্রুত ডেবরা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সাফল্য পেল ডেবরা থানার পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতের অভিযানে গোলগ্রাম এলাকা থেকেই দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করেন ডেবরা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত যুবকের নাম পিন্টু দে। বাড়ি গোলগ্রাম এলাকাতেই।

thebengalpost.net
আবাসের টাকা ছিনতাই:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার গোলগ্রামের একটি ব্যাংক থেকে আবাস প্লাস তথা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকার মধ্যে, ৫০ হাজার টাকা তুলে সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন ডেবরার বাহাদুরপুর এলাকার বাসিন্দা, বছর ৬০-র সেক সুবেদ আলি। সাইকেলের সামনের বক্সে ব্যাগের মধ্যে রাখা ছিল টাকা। হঠাৎই পেছন থেকে একটি বাইকে করে এসে, এক দুষ্কৃতী তাঁর টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় ভেঙে পড়েন সেক সুবেদ আলি। এরপর, পরিবারের সদস্যদের পরামর্শে দ্রুত ডেবরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই ডেবরা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রণয় রায়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত শুরু হয়। শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশের টানা অভিযানে ধরা পড়ে অভিযুক্ত পিন্টু দে। যার বাড়ি গোলগ্রাম এলাকাতেই। ধৃত পিন্টু দে-কে শনিবার মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডেবরা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে খুশি সেক সুবেদ আলি।

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):