দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ এপ্রিল: প্রায় ৭২ ঘন্টা হতে চললো খোঁজ মেলেনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের তৃণমূল নেতা আনন্দ রায়ের। তিনি আবার, শাসকদলের বুথ সভাপতিও। গত ৪ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ কেশপুর ব্লকের ৬ নম্বর জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আগর গ্রামের ওই বুথ সভাপতি আনন্দ রায়। তাঁকে ‘অপহরণ’ এর অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আনন্দপুর থানা। এদিকে, ঘটনা ঘিরে জেলা জুড়ে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। দুঃশ্চিন্তায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বও!
 
জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল বোনের বাড়ি যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে মোটর বাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন কেশপুর ব্লকের ৬ নম্বর জগ্ননাথপুর অঞ্চলের আগর বুথের তৃণমূল সভাপতি আনন্দ রায়। রাতে বাড়ি ফিরে আসার কথা থাকলেও, বাড়ি ফিরে আসেননি। বন্ধ তাঁর মোবাইল ফোনটিও! বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর করার পরও হদিস না মেলায়, পরিবারের তরফে আনন্দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। নিখোঁজ তৃণমূল বুথ সভাপতির ছেলে রত্নদীপ রায়ে’র দাবি, “বাবাকে অপহরণ করা হয়েছে। বাবা প্রতিদিন বাড়ির বাইরে যান। একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিরে আসেন। ওইদিন পিসিমনির বাড়ি যাচ্ছি বলে বেরিয়েছিল। কিন্তু, রাত পর্যন্ত বাড়ি ফিরে না আসায় আমরা খোঁজ খবর শুরু করি। দলের নেতাদের কে জানাই। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাই। আমাদের অনুমান বাবাকে অপহরণ করা হয়েছে।” একই দাবি নিখোঁজ তৃণমূল নেতার স্ত্রী অরুণা রায়েরও।

thebengalpost.net
আনন্দ রায়:

 
ঘটনায় রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন নিখোঁজ নেতার স্ত্রী, সন্তান সহ পরিবারের সদস্যরা। দুঃশ্চিন্তায় স্থানীয় ও জেলা তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও। অনেকেই নাকি খোঁজ খবর নিয়ে জেনেছেন, নিখোঁজ আনন্দ রায়-কে শেষবার দেখা গেছে, শালবনী ব্লকের গোদাপিয়াশাল এলাকায়। অপরদিকে, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বিশ্বজিৎ বড়দোলই জানিয়েছেন, ওইদিন সন্ধ্যায় আনন্দপুরের কানাশোল এলাকায় একটি মিটিং ছিল, তবে উনি আসেননি। পেশায় উনি ব্যাঙ্কের সিএসপি (Customer Service Point) কর্মী। তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে জেলা পুলিশ। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ আনন্দ রায়ের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। সব রকম ভাবে খোঁজ খবরের চেষ্টা করা হচ্ছে।” অন্যদিকে, নিখোঁজ নেতার স্ত্রী’র কাতর আবেদন, “আমার স্বামী ২০১১ সাল থেকে দিদির দলের সক্রিয় কর্মী। আগর-বাবুরাইমা বুথের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে) এবং পুলিশের কাছে অনুরোধ আমার স্বামীকে খুঁজে দিন।”