দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ এপ্রিল: রমজান মাসেই মুসলিম সম্প্রদায়ের তরুণীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল খোদ মহিলা বিডিও (BDO)’র বিরুদ্ধে! বিডিও’র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে জেলাশাসক (DM)- এর দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা ওই তরুণী। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের। ঘটনাক্রমে জানা যায়, মেদিনীপুর সদর ব্লক চত্বরে ব্লক প্রশাসন নির্মিত একটি স্টল ভাড়া নিয়ে কম্পিউটারের কাজ করেন সদর ব্লকের শিরোমণি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়ুয়া গ্রামের বছর ৩০’র তরুণী রেহানা খাতুন। গত ৩ মাসের ভাড়া বকেয়া থাকার অভিযোগে মার্চ মাসের শেষে তাঁকে নোটিশ ধরানো হয় ব্লক প্রশাসনের তরফে। তরুণীর অভিযোগ, ৩০ মার্চ নোটিশ হাতে পাওয়ার পর, সমস্ত বকেয়া ভাড়া মেটানোর জন্য ৩১ মার্চ এবং তারপরেও প্রতিনিয়ত বিডিও অফিসে গিয়েও ভাড়া না দিয়েই তাঁকে ফিরে আসতে হয়েছে। শেষমেশ গত ১১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) তিনি এই বিষয়ে বিডিও’র সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গেলেও বিডিও সুদেষ্ণা দে মৈত্র তাঁর সঙ্গে দেখা না করে, প্রায় আধঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ। এমনকি, বিডিওর গেটের বাইরে থাকা নিরাপত্তা কর্মী তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ।
এরপরই, ক্ষুব্ধ তরুণী ওই নিরাপত্তা কর্মীকে জিজ্ঞাসা করেন, “আপনি কি বিডিও? আমি বিডিওর সঙ্গে কথা বলতে চাই।” এরপর, ওই তরুণী বিডিও’র রুমের দরজা খুলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি চান। তরুণীর অভিযোগ, এই ঘটনার পরই রীতিমতো অগ্নিশর্মা হয়ে বেরিয়ে আসেন বিডিও সুদেষ্ণা দে মৈত্র। ওই তরুণীকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি এবং তাঁকে তাঁর নিজের রুমের মধ্যে আটকে রেখে কোতোয়ালী থানায় ফোন করেন বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণের মধ্যেই কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু, এর মধ্যেই প্রায় সাড়ে ৬-টা বেজে যাওয়ায়, তরুণী ওই দিন রোজা রেখেও, সঠিক সময় রোজা ভাঙতে পারেন না বলে অভিযোগ করেছেন। প্রায় ১ ঘন্টা ধরে তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন চলেছে বলেও অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। ‘সুবিচার’ চেয়ে ইতিমধ্যে জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছেন রেহানা খাতুন নামে ওই তরুণী। চিঠিতে বিডিও’র বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন তিনি। এই বিষয়ে বিডিও সুদেষ্ণা দে মৈত্র’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি। তবে, মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, যা হয়েছে সিসিটিভি (CCTV)’র আওতায় এবং কোতোয়ালী থানার পুলিশের সামনেই হয়েছে। তিনি এও বলেন, “আরও অনেকেরই তো স্টল আছে, তাঁরা তো এরকম অভিযোগ করেননি। ওই মহিলা আমার দপ্তরের কর্মীর সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেছেন। আমি প্রতিবাদ করলে, আমার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন। এজন্য আমি শুধু পুলিশকে খবর দিয়েছি। মাত্র ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ পৌঁছে গিয়েছিলেন। বাকি পুরো ঘটনাই ঘটেছে সিসিটিভি (CCTV) আওতার মধ্যেই। এর বেশি আর কিছু বলতে চাইনা এই বিষয়ে।” রুমে আটকে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, “ওঁর সঙ্গে আমাদের অফিসের একজন চতুর্থ শ্রেণীর মহিলা কর্মী ছিলেন। আমি শুধু রুম থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম।” এই বিষয়ে শুক্রবার জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে জানান, “এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগকারিনীর সঙ্গে সোমবার কথা বলব।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…