তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ এপ্রিল:জুড়ালো তৃষ্ণা! প্রায় ছ’মাস পর জলের ট্যাপ দিয়ে পড়ল পানীয় জল। দু’দিন আগেই শাসকদলের বিরুদ্ধে পড়েছিল পোস্টার। পোস্টার পড়েছিল, “ছয় মাস ধরে পানীয় জল বন্ধ। TMC নেতারা চুপ কেন? জবাব চাই, জবাব দাও।” সেই খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অবশেষে, শনিবার থেকে পানীয় জলের লাইন জুড়ে দেওয়া হল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের মনোহরপুর দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শ্রীপুর গ্রামের ওই বুথটি বিজেপির দখলে। আর, ওই এলাকাতেই মাস ছয়েক আগে, রাস্তার কাজের জন্য জলের লাইন কাটা হয়েছিল। তারপর আর সেই লাইন জোড়া হয়নি। এই গরমের মধ্যেও প্রায় ৩-৪ কিলোমিটার দূরে মাঠের মাঝখানে মিনি বা সেলো থেকে পানীয় জল নিয়ে আসতে হচ্ছিল গ্রামের মহিলাদের! গরমে কষ্ট ক্রমশঃ বাড়ছিল। অবশেষে, প্রতিবাদে সামিল হন গ্রামবাসীরা। বিজেপির শ্রীপুর বুথ কমিটির নেতৃত্বে প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্টার দেওয়া হয় সর্বত্র। তারপরই, নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। জলের পাইপলাইন জুড়ে দেওয়া হয়।

thebengalpost.net
তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টার :

উল্লেখ্য, পাড়ায় পাড়ায় পানীয় জলের ট্যাপ থাকলেও, শ্রীপুর এলাকায় সেই ট্যাপ বা জলের কল থেকে জল পড়ছিলো না প্রায় ছ’মাস। প্রায় মাস ছয়েক আগে ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাস্তা সম্প্রসারণের সময় জলের যে লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, গত ছ’মাস ধরে তা সংযোগ করা হয়নি! ফলে, জল পাচ্ছিলেন না শ্রীপুর সহ নন্দীপুর, পাটপুকুরের একাংশও। এদিকে, গ্রামে নলকূপ থাকলেও, জলস্তর নেমে যাওয়ায় পানীয় জলের হাহাকার দেখা দিয়েছিল! বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের অভিযোগ ছিল, “শ্রীপুর গ্রামটি বিজেপি প্রভাবিত এলাকা। তাই, ইচ্ছে করেই পাইপ লাইন সংযোগের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি!” গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জয়দেব দোলই বৃহস্পতিবার-ই জানিয়েছিলেন, “PWD কাজের জন্য পাইপলাইন কাটা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” তবে, শুক্রবার এই বিষয়ক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরই শনিবার তড়িঘড়ি পাইপলাইন জুড়ে দেওয়া হয়। ঘাটালের বিডিও ধ্রুবজ্যোতি প্রামানিক শনিবার বলেন, “একটা সমস্যা হয়েছিল। পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

thebengalpost.net
অবশেষে কষ্ট দূর হতে চলেছে: