দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ ডিসেম্বর: অবশেষে টানা পাঁচ দিন ধরে উদ্ধারকার্য চালানোর পর সাফল্য পেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ! মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে, ভগবতী চক (খয়রুল্লাচকের কাছে) সংলগ্ন শ্যাওড়ার কলাইচন্ডী খালে পড়ে যাওয়া শালবনীর গোদামৌলি গ্রামের বাদল মাহাতো (৪৫)’র মৃতদেহ উদ্ধার হল। শালবনী থানার অধীন পিড়াকাটা পুলিশ ফাঁড়ি’র তরফে সেই মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) থেকে ওই ব্যক্তির মৃতদেহের সন্ধানে চলছিল জোরদার তল্লাশি। কলাইচন্ডী খালে নামানো হয়েছিল ডুবুরি। তাঁরা ব্যর্থ হন। এরপর আসরে নামে ডি.এম.জি (Disaster Management Group)। গত তিনদিন ধরে তাঁরা আধুনিক স্পিডবোট নিয়ে উদ্ধারকার্য চালায়। কিন্তু, রহস্যজনকভাবে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি! তবে, প্রথমদিনই অর্থাৎ মঙ্গলবার ওই ব্যক্তির সাইকেল ও জুতো উদ্ধার করেছিলেন পুলিশকর্মীরা। এদিকে, শনিবার ঠিক সন্ধ্যার মুখে বাদল মাহাতো’র মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকর্মীদের। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শালবনী থানার আইসি গোপাল বিশ্বাস, পিড়াকাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনন্দ মণ্ডল সহ পুলিশ আধিকারিকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জেলা শহর মেদিনীপুরের অদূরে ভগবতী চক (খয়রুল্লাচকের কাছে) সংলগ্ন শ্যাওড়া এলাকায় কলাইচন্ডী খালের উপর যে সেতু আছে, সেই জরাজীর্ণ সেতু থেকে পড়েই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায়। গোদামৌলি গ্রামের বাদল মাহাত (৪৫) সোমবার সন্ধ্যায় সাইকেল নিয়ে ওই সেতুর উপর দিয়ে নিজের বাড়ি (গোদামৌলি) ফেরার সময়, ওই জরাজীর্ণ সেতু থেকে খালের জলে পড়ে যান বলে স্থানীয়দের দাবি। খাল থেকে সাইকেল ও জুতো উদ্ধার হওয়ায়, পরিবার ও পুলিশকর্মীরা এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিলেন। এরপর, মঙ্গলবার থেকে একদিকে যেমন চলেছে উদ্ধার কার্য, ঠিক অন্যদিকে গ্রামবাসীরা ওই জরাজীর্ণ সেতু অবিলম্বে সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে গেছেন। বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা শালবনীর ব্লক তৃণমূল সভাপতি নেপাল সিংহ-কেও। ওই সেতু অবিলম্বে সংস্কারের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, কলাইচন্ডী খাল থেকে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শালবনী থানার পুলিশ আধিকারিকরা।