দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ এপ্রিল:ফের ধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনাস্থল এবারও পশ্চিম মেদিনীপুর। দিনকয়েক আগেই, পিংলার প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্য-কে। আর, এবার ঘটনাস্থল, পিংলার পাশেই ডেবরা! যদিও, নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়ি পিংলা এলাকাতেই। তবে, পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী (বয়স আনুমানিক ১২-১৩) ওই নাবালিকা থাকত ডেবরা ব্লকের ৪ নং খানামোহান অঞ্চলের একটি গ্রামে (সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রামের নাম গোপন রাখা হল), নিজের মামাবাড়িতে। সেখানে থেকেই সে পড়াশুনা করতো। অভিযোগ অনুযায়ী, রবিবার বিকেলে, মামাবাড়ির লোকজনদের অনুপস্থিতিতে, ঘরে ঢুকে ওই নাবালিকাকে ধর্ষন করে এলাকারই এক যুবক। অভিযুক্ত যুবকের নাম মঙ্গল মান্ডী। মেয়েটির দিদিমার অভিযোগ, বিকেলে কাজ থেকে ফিরে বাড়িতে ঢুকে দেখে নাতনি রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে! পরে ঘটনা জানতে পেরে, এলাকায় পৌঁছন ডেবরা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। নাবালিকার দিদিমা অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। তবে, অভিযুক্ত যুবক পলাতক। পুলিশ তার সন্ধান চালাচ্ছে। এদিকে, সোমবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওই নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে পুলিশের তরফে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডেবরা থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, জেলা শহর মেদিনীপুরের বাসিন্দা (কোতোয়ালী থানার অন্তর্গত) এক ১৭ বছরের স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন (অভিযোগ অনুযায়ী, ধর্ষণ) করা এবং প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে শহরের এক যুবকের বিরুদ্ধে। দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ওই মেয়েটি’র পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, পরবর্তী সময়ে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাঁরা মেয়ের কাছে সব জানতে চান। এরপরই সে বলে, তাঁকে ভুল বুঝিয়ে, বাড়ি থেকে দূরে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার (অভিযোগ অনুযায়ী, দু’বার) তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণ’ করে ওই যুবক। এরপরই, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে নাবালিকা এবং গত ১৪ এপ্রিল ওই নাবালিকা এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু, অভিযুক্ত ওই যুবক সবকিছুই অস্বীকার করে এবং ঘটনার কথা গোপন করার জন্য শাসক দলের নাম করে হুমকি দেয়! এমনকি, এর আগে ভ্রুণ হত্যা করার জন্যও ওই যুবক চাপ দিয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই পরিবারকে রীতিমতো শাসিয়ে বলে, সে শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত। এরপর, ওই নাবালিকার মা রবিবার (১৭ এপ্রিল) মেদিনীপুরের মহিলা থানায় (Kotwali Women Police Station) যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই শহরের আবাসের বাসিন্দা ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাকে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হলে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। নাবালিকা মা ও তার সন্তান-কে আপাতত সরকারি হোমে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।