দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২৩ সেপ্টেম্বর: আদিবাসী কুড়মি সমাজের আন্দোলনে প্রায় স্তব্ধ দক্ষিণ পূর্ব রেলের যাত্রী পরিষেবা! গত মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে চলা রেল অবরোধে (রেল টেকা), আজ, শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ১৬৬-টি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষকে। এমনটাই জানিয়েছেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য কুমার চৌধুরী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১৯-টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। আজ অর্থাৎ শুক্রবার বাতিল করা হয়েছে ৪৭-টি ট্রেন। সবমিলিয়ে বাতিল ট্রেনের সংখ্যা ১৬৬। যতক্ষণ বিক্ষোভ চলছে, ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগাম কাটা টিকিট নিয়ে রেলের তরফে পাঠানো এসএমএস এবং দৈনিক বুলেটিনের দিকে নজর রাখার অনুরোধ করা হয়েছে যাত্রীদের। যে সমস্ত ট্রেনগুলি শুক্রবারও শর্ট টারমিনেট করা ও ঘুরপথে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেইগুলির দৈনিক তালিকাঝ রেলের তরফে আপডেট করা হচ্ছে।
দক্ষিণ পূর্ব রেলের অফিসিয়াল পেজ (South Eastern Railway) থেকে জানা যায়, শুক্রবার পুরুলিয়া হাওড়া এক্সপ্রেস, খড়গপুর-রাঁচি এক্সপ্রেস, খড়গপুর-হাতিয়া এক্সপ্রেস আদ্রা স্টেশন পর্যন্ত চলছে। সময়েরও কিছু হেরফের হয়েছে। পুরুলিয়া এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে বিকেল ৪ টা ৫০ এর পরিবর্তে, সন্ধ্যা ৬ ট ৩০ এ ছেড়েছে। অন্যদিকে, শুক্রবারও টাটানগর-খড়গপুর স্পেশাল ট্রেন, টাটানগর-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস (আপ ও ডাউন), ঝাড়গ্রাম-ধানবাদ এক্সপ্রেস (আপ ও ডাউন), টাটানগর-দানাপুর এক্সপ্রেস (আপ ও ডাউন), খড়গপুর-টাটানগর স্পেশাল এক্সপ্রেস (আপ ও ডাউন), টাটানগর-আসানসোল স্পেশাল (আপ ও ডাউন, হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস (আপ ও ডাউন), ধানবাদ-টাটানগর এক্সপ্রেস, চক্রধরপুর-টাটানগর এক্সপ্রেস (আপ ও ডাউন), আসানসোল-বোকারো স্টিল সিটি এক্সপ্রেস (আপ ও ডাউন), আসানসোল রাঁচি স্পেশাল এক্সপ্রেস (আপ ও ডাউন), চক্রধরপুর-গোমো এক্সপ্রেস (আপ ও ডাউন), আসানসোল-বোকারো স্টিল সিটি স্পেশাল (আপ ও ডাউন), হাতিয়া-খড়গপুর এক্সপ্রেস, আসানসোল-পুরুলিয়া স্পেশাল (আপ ও ডাউন), রাঁচি-খড়গপুর এক্সপ্রেস, খড়গপুর-ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া মেমু স্পেশাল, আসানসোল-টাটানগর এক্সপ্রেস (আপ ও ডাউন) প্রভৃতি ট্রেন সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার বিকেলে খড়্গপুর গ্রামীণের খেমাশুলি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে আদিবাসী কুড়মি সমাজের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নেতা রাজেশ মাহাত জানিয়েছেন, “যতক্ষণ না রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের উপজাতি মন্ত্রকের কাছে (Tribal Affairs Ministry) মেমোরেণ্ডাম সহ সঠিক কমেন্ট ও জাস্টিফিকেশন পাঠানোর প্রতিলিপি পাঠানো হচ্ছে এবং সংশোধিত সিআরাই (Cultural Research Institute)- এর কপি বা প্রতিলিপি তাঁদের দেখানো হচ্ছে, ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমাদের ৫০ বছরের সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের এই লড়াইয়ে আপনারাও পাশে থাকুন।” গত ২১ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে রাজ্যের পাঠানো চিঠিকেও গুরুত্ব দিতে নারাজ আদিবাসী কুড়মি সমাজের নেতৃবৃন্দ। তাঁদের দাবি, রাজ্যের তরফে কিছু আলোচনার থাকলে বা কিছু তথ্য দেওয়ার বা নেওয়ার থাকলে, তা প্রকাশ্য মঞ্চে উপস্থিত থেকেই করতে হবে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…