দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ ফেব্রুয়ারি: অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে (Amrit Bharat Station Project) আদ্রা ডিভিশনের (Adra Division) অধীন শালবনী স্টেশনেও জোরকদমে কাজ চলছে। তবে, সেই কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ শালবনীবাসীর। পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গল অধ্যুষিত এই স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে বলে একদিকে যেমন খুশি শালবনীবাসী, ঠিক তেমনই এমন এক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। দলমত নির্বিশেষে বিষয়টি সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছেন অনেকেই। সোমবার স্মারকলিপি দেওয়া হল হিন্দু জাগরণ মঞ্চের শালবনী শাখার তরফে।
জাগরণ মঞ্চের অভিযোগ, স্টেশনে যে মার্বেল বসানো হচ্ছে তা নিম্নমানের ও ভাঙা! বিল্ডিংয়ের নীচে বালি দিয়ে ভরাট না করে, মোরাম ও ভাঙা টাইলস দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। এনিয়ে জাগরণ মঞ্চের তরফে শালবনীর ঋজু কারক বলেন, “সুপার ভাইজারকে জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেন যেখানে উচ্চ আধিকারিকদের সমস্যা নেই, সেখানে আমাদের সমস্যা কিসের! অন্যদিকে, ইঞ্জিনিয়রকে ফোন করলে তিনি বলেন, বালির ব্যবহার করার জন্য বলা আছে। এর পর ভাবুন সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করছে; কিন্তু কিভাবে তা অপব্যবহার করছেন কিছু আধিকারিক।” সেজন্যই হিন্দু জাগরণ মঞ্চের তরফে অভিযোগ আকারে স্মারকলিপি তুলে দেয়া হয় আদ্রা ডিভিশনের DRM-র কার্যালয়ে।
অন্যদিকে, শালবনীতে যে আন্ডারপাস তৈরি হচ্ছে সেখানেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ তথা রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ সিংহ। তাঁর অভিযোগ, ৬ মাস আগের জমাট বেঁধে যাওয়া সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে, আন্ডারপাসের যে রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল, তাও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঢালাই করার ফলে তার দফারফা হয়ে গেছে মাত্র দু-তিন মাসের মধ্যেই। বাকি কাজেও দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা নিম্নমানের সমাপ্তি ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তাঁর। বিষয়টি তিনি ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার সাথে সাথেই রেলের বিভিন্ন মহলেও অভিযোগ আকারে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, আন্ডারপাসের কাজে এই ধরনের দুর্নীতির বিষয়টি স্মারকলিপিতে তুলে ধরেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চও। শালবনীর সমাজকর্মী নুতন ঘোষ বলেন, “মাত্র দু’মাস আগে বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে গিয়ে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন তারপরও যদি না রেলের হুঁশ ফেরে, বলার কিছু নেই! এত গুরুত্বপূর্ণ কাজে রেলের ইঞ্জিনিয়রদের অবশ্যই নজর দেওয়া উচিত।”