স্বর্ণদীপ বাগ, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম, ৫ এপ্রিল: ২০২২’র সেপ্টেম্বরের পুনরাবৃত্তি ২০২৩’র এপ্রিলে! এস টি (ST) তালিকাভুক্ত করার দাবিতে এবং সিআরআই (CRI/ Cultural Research Institute) রিপোর্টের জাস্টিফিকেশন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে ফের রেল ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করল আদিবাসী কুড়মি সমাজ তথা আপামর কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষ। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর লোকাল থানার খেমাশুলিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা। আজ, বুধবার (৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি। খড়্গপুর ডিভিশনের অন্তর্গত খড়্গপুর-টাটানগর লাইনের খেমাশুলিতে এবং আদ্রা ডিভিশনেল আদ্রা-চাণ্ডিল লাইনে কুস্তাউরে রেল অবরোধের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। এই জোড়া অবরোধের জেরেই দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে বুধবার ৪৭টি প্যাসেঞ্জার, এক্সপ্রেস সহ বিভিন্ন ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে ৮-টি ট্রেনের।
দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বুধবার অর্থাৎ ৫ এপ্রিল খড়্গপুর-হাতিয়া-খড়্গপুর এক্সপ্রেস (১৮০৩৫/১৮০৩৬); আদ্রা-পুরুলিয়া-আদ্রা মেমু (০৮৬৪৯/০৮৬৫০); টাটানগর-খড়্গপুর-টাটানগর মেমু (০৮০৫৪/০৮০৫৫ এবং ০৮১৫৯/০৮১৬০); টাটানগর-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস; হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস; সাঁতরাগাছি-ঝাড়গ্রাম-সাঁতরাগাছি মেমু (০৮০৬৯,/০৮০৭০); আসানসোল-রাঁচি মেমু; খড়্গপুর-ঝাড়গ্রাম মেমু; হাওড়া-রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস; পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম মেমু; ধানবাদ-ঝাড়গ্রাম মেমু সহ এই সমস্ত লাইনের ৪৭টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে। এছাড়াও, ৮টি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত বা কাটছাঁট করা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে রয়েছে হাওড়া-আদ্রা-চক্রধরপুর (১৮০১১/১৮০১২) এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনটি আদ্রা পর্যন্ত গিয়ে যাত্রা শেষ করবে এবং আদ্রা থেকেই পরবর্তী যাত্রা শুরু করবে। সাঁতরাগাছি-পুরুলিয়া (১২৮৮৩) এক্সপ্রেস আদ্রা পর্যন্ত যাবে এবং পুরুলিয়া-হাওড়া (১২৮৮৪) এক্সপ্রেস আদ্রা থেকে যাত্রা শুরু করবে। ১২৮২৮ পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেসটিও পুরুলিয়ার পরিবর্তে আদ্রা থেকে ছাড়বে। কাঁটাবাঁজি-টিটাগড়-হাওড়া এক্সপ্রেসের যাত্রা টাটানগর পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। আসানসোল-টাটানগর-আসানসোল মেমু ট্রেনও আদ্রাতেই থামবে এবং আদ্রা থেকেই ছাড়বে বলে জানানো হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে।
এদিকে, মঙ্গলবার গরাম পূজার মধ্য দিয়ে, গরাম থানে শপথ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আন্দোলন শুরু করেন কুড়মিরা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই খেমাশুলিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয় কুড়মি সংগঠনের তরফে। যার ফলে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে সমস্ত যানবাহন চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। খেমাশুলির একদিকে ঝাড়গ্রাম জেলার গুপ্তমনি, বালিভাষা, লোধাশুলি এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে লম্বা গাড়ির লাইন হয়। অপরদিকে, কলাইকুন্ডা থেকে খড়্গপুরের সাহাচক পর্যন্ত ৬ নম্বর জাতীয় সড়কেও লম্বা গাড়ির লাইন পড়ে যায়। এর ফলে, দূরপাল্লার বিভিন্ন গাড়ির চালক ও খালাসিরা সমস্যায় পড়েছেন। সেইসঙ্গে সমস্যায় পড়েন বিভিন্ন গাড়িতে থাকা সাধারণ মানুষজন। তবে, ভিন রাজ্য থেকে আসা ট্রাক চালক ও খালাসিদের যে পুনরায় ভোগান্তি শুরু হল তা বলাই বাহুল্য! যদিও, কুড়মি সংগঠনের দাবি, তাঁরা মাসখানেক আগে থেকেই সমস্ত কিছু ঘোষণা করে এই কর্মসূচি পালন করছেন। প্রশাসনের উচিৎ তাঁদের ৭০ বছরের পুরানো দাবি মেনে নেওয়া! অপরদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী জানান, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদী।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…