দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, বালেশ্বর, ২ জুন: বালেশ্বরের কাছে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত শতাধিক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। জানা যায়, করমন্ডল ও মালগাড়ির মুখোমুখি ধাক্কার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে মালগাড়ির ২-৩টি বগি ছিটকে গিয়ে পাশের লাইনের হাওড়া-ব্যাঙ্গালুরু যশবন্তপুর এক্সপ্রেসসের শেষ ৩টি বগিকে ধাক্কা মারে। ফলে লাইনচ্যুত হয় যশবন্তপুরের ওই বগি গুলিও। গত কয়েক দশকের মধ্যে সবথেকে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় নজিরবিহীন তৎপরতা শুরু হয়েছে রেল সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধার কাজ। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। গুরুতর আহতদের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন তথা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে 102 অ্যাম্বুলেন্স সহ অন্তত ২৩টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। ১০ জন চিকিৎসকের একটি দল পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ড. সৌম্য শংকর সারেঙ্গী।
এদিকে, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও তৎপরতা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সমাজকর্মীরা রক্তের জন্য ছোটাছুটি শুরু করেছেন ইতিমধ্যে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পিংলা সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা ভেলোরে উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে। উদ্বিগ্ন পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে। এদিকে, বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে দশটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন রমাপ্রসাদ গিরি, শঙ্কর গুছাইত সহ জেলা বিজেপির একাধিক নেতা।