দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, বালেশ্বর, ৩ জুন: শয়ে শয়ে সাজানো লাশ! সাদা কাপড়ে ঢাকা একের পর এক নিথর দেহ। ওড়িশার বাহানাগা যেন এক মৃত্যুপুরী! সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা এখনও অবধি ২৬১ ( বেলা ১টা পর্যন্ত) এবং আহত ৬৫০ হলেও; বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সংস্থা সূত্রে জানা যায় মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। যাত্রীবোঝাই ২-৩ টি কামরাতে এখনও পৌঁছতেই পারেননি উদ্ধারকারীরা! মৃতের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত ৫০০ ছাড়িয়ে যাবে বলে বিভিন্ন মহলের মত। স্বয়ং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘটনাস্থলে গিয়ে তেমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এখনও চলছে উদ্ধার কাজ। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ছাড়াও উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতাল গুলিতে আহতদের চিকিৎসা চলছে। অন্তত ৬০ জনের চিকিৎসা চলছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় ৪ ঘণ্টা পরে বালেশ্বরের বাহানাগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ কামরার ট্রেনটি। রেল দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। মালগাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কার অভিঘাতে হাওড়া যশবন্তপুর এক্সপ্রেসও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। লাইনচ্যুত হয় দু-তিনটি বগি। মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে লন্ডভন্ড হয়ে যায় গোটা এলাকা। চারপাশে শুধু ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন দেহ আর আর্তনাদ! শনিবার বেলা ১টা নাগাদ রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৬১। আহত হয়েছেন প্রায় ৬৫০ জন। তবে, উদ্ধার কাজ শেষ হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদেরও আশঙ্কা, উদ্ধারকাজ যত এগোবে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে এখনও অনেক যাত্রী আটকে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।