দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ ফেব্রুয়ারি: সেপ্টেম্বরের (২০২২) পর ফেব্রুয়ারি (২০২৩)। পাঁচ মাস পর ফের সেই খেমাশুলিতেই রেল-রোড চাক্কা জ্যামের ডাক! এবার, ডাক দিয়েছে আদিবাসী সেঁঙ্গেল অভিযান (ASA)। মারাং বুরু বাঁচাও এবং সারনা ধর্ম কোড চালু করার দাবিতে শনিবার সকাল ৬ টা থেকে খড়্গপুর ডিভিশনের খেমাশুলিতে ট্রেন ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে চলেছেন সংগঠনের সদস্যরা। আদ্রা ডিভিশনের কাঁটাডিহিতেও অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। মূলত জঙ্গল অধ্যুষিত পাঁচটি রাজ্যে (ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, বিহার, অসম ও পশ্চিমবঙ্গ) শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে আদিবাসী সংগঠনটি। আর, এর জেরেই খড়্গপুর ডিভিশনের (Kharagpur Division) একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের তরফে।
শনিবার যে ৮টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে সেগুলি হল- ০৮০৫৫ খড়্গপুর টাটানগর প্যাসেঞ্জার, ১২০২১ হাওড়া বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, ১২৮৭১ হাওড়া টিটলাগড় ইস্পাত এক্সপ্রেস, ০৮০৭১ খড়্গপুর টাটানগর প্যাসেঞ্জার, ০৮০৫৪ টাটানগর খড়্গপুর প্যাসেঞ্জার, ০৮০৬০ টাটানগর খড়্গপুর প্যাসেঞ্জার, ১২৮১৪ টাটানগর হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস এবং ০৮১৬০ টাটানগর খড়্গপুর প্যাসেঞ্জার। অপরদিকে, ১২২২২ হাওড়া পুণে দুরন্ত এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হচ্ছে আজ, শনিবার। হাওড়া থেকে খড়্গপুর হয়ে তা মেদিনীপুর, আদ্রা, বোকারো স্টিল সিটি, কোঠশিলা, মুড়ি, হাতিয়া হয়ে রৌরকেল্লা পৌঁছবে। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে (২০২২)’র তৃতীয় সপ্তাহেও খড়্গপুর গ্রামীণের খেমাশুলি অবরুদ্ধ হয়েছিল আদিবাসী কুড়মি সমাজের কর্মসূচিতে। সেই আন্দোলনকে স্মরণ করেই আশঙ্কায় আছেন জেলাবাসী। অপরদিকে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার ফের খেমাশুলিতে এক বিশাল জনসভার ডাক দিয়েছে আদিবাসী কুড়মি সমাজ। সেক্ষেত্রে রবিবারও যাত্রীরা নানা ভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হতে চলেছেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত।