দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ এপ্রিল: “তৃণমূল তো চুরি করা তোর থেকে শিখেছে! তৃণমূল চুরি করতে জানতো না।” পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থেকে নাম না করে ঠিক এভাবেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-কে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুক লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের সমর্থনে দলীয় সভা থেকে এদিন ‘গদ্দর’ সম্বোধনে শুভেন্দু-কে বারবার তোপ দাগেন মমতা। এমনকি, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে জেল-বন্দী আনিসুর রহমান (পাঁশকুড়ার প্রাক্তন তৃণমূল নেতা, পরে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন)-কে স্মরণ করলেও, শুভেন্দু-শিশিরের অবদান অস্বীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “আমাদের দলে ছিল বলে আমার বইতে পিতা-পুত্রের নাম লিখেছিলাম, সংশোধন করে দেব!”
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে জুন মালিয়ার সমর্থনে সভা করার পর, বেলা আড়াইটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী রওনা দেন পূর্ব মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে। প্রখর রৌদ্র উপেক্ষা করেও উপস্থিত হওয়া হাজার হাজার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই, নিজেদের প্রার্থীর নাম বলতে গিয়ে সামান্য গন্ডগোল করে ফেলেন মমতা। বলেন, “আমাদের এখানের প্রার্থী অভিজিৎ! সরি দেবাংশু। দেবাংশু ভট্টাচার্য।” এরপরই, ভুল সংশোধন করে ‘ছাত্র-যৌবনের নেতা’ দেবাংশুর সমর্থনে ভোট চান মমতা। কড়া আক্রমণ করেন দেবাংশুর ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-কে। বলেন, “যিনি বিচারকের আসনে বসে বিজেপি-র সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন, বিজেপি করতেন আর চাকরি খেতেন…তাঁকে বিতাড়িত করে দিন।” এরপরই নাম না করে, ‘গদ্দর’ শুভেন্দু-কে আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, “ওরে তৃণমূল তো চুরি করা তোর থেকে শিখেছেরে! তৃণমূল চুরি করা জানতো না। চুরি করেও নি!”