দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ১৩ সেপ্টেম্বর: নজিরবিহীন পুলিশি তৎপরতা। হাওড়া ব্রিজ থেকে হুগলি ব্রিজ সর্বত্র গর্ত করে বসানো হয়েছে লোহার গার্ডরেল। শুভেন্দু-কে আটকাতে স্টিলের ব্যারিকেড। এক পা-ও এগোনোর উপায় নেই! নবান্ন অভিযানের শুরুতেই শুভেন্দুকে আটকে দেয় পুলিশ। পিটিএসে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মুখেই ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দু, লকেট, রাহুল সিনহা-কে। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়ি পড়েন বিরোধী দলনেতা।‌ বলতে থাকেন, “আপনার মা-কে ডাকুন। লেডি কিম-কে ডাকুন। উত্তর কোরিয়া বানিয়ে দিয়েছেন বাংলাকে। গোটা দেশ দেখুক।” শুভেন্দু আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি-ও দেন। বলেন, “বিরোধী দলনেতাকে এইভাবে আটকানোর অধিকার নেই। এক্ষুনি আদালতে যাব।” কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরোধী দলনেতাকে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। তার আগে আটক করা হয় লকেট, রাহুলকেও।

thebengalpost.net
পুলিশের সঙ্গে বচসা :

এদিকে, বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে তমলুক টোল প্লাজা এলাকায় কার্যত ধুন্ধুমার বেধে যায়। হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলকে আটকে দেওয়ায় পথ অবরোধ করে গেরুয়া শিবির। বিক্ষোভ চলাকালীন সেখান পৌঁছে যান তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান তারক জানা। তাঁকে দেখেই তেড়ে যান বিজেপি কর্মীরা। তাঁকে মারধর করে জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। তারক জানা তৃণমূল পরিচালিত রঘুনাথপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তিনি বলেন, “গন্ডগোল থামাতে এসেছিলাম। পুলিশের সঙ্গে কথা বলছিলাম। বিজেপি কর্মীরা তেড়ে এসে মারধর করে।” এদিকে, হাওড়া-হুগলি ব্রিজে ওঠার আগেই যেভাবে গর্ত খুঁড়ে ব্যারিকেড করা হয়েছে তাতে একদিকে যেমন শহর কলকাতায় ভয়াবহ যানজট তৈরি হয়েছে, ঠিক তেমনই এই ধরনের পদক্ষেপ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক!

thebengalpost.net
আটক শুভেন্দু:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement) :