দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ এপ্রিল: তবে কি ফের সেপ্টেম্বরের (২০২২) পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে এপ্রিলে (২০২৩)? শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে দাঁড়িয়ে আদিবাসী কুড়মি সমাজের জেলা সম্পাদক অনিমেষ মাহাত তেমনটাই ইঙ্গিত দিলেন। তাঁর দাবি, “অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে CRI (Cultural Research Institute) রিপোর্ট বা জাতিগত পরিচয়ের রিপোর্ট পাঠাতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। নাহলে ঘাগর ঘেরা (পথ অবরোধ) কর্মসূচি চলবে অনির্দিষ্টকালের জন্য। আগামী ৪ এপ্রিল খড়্গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে শুরু হবে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল টকা (রেল অবরোধ) ও ডহর ছেঁকা (সড়ক পথ অবরোধ)।” তবে, ওই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা সংক্রান্ত জরুরী পরিষেবা বা জরুরী পণ্য পরিষেবাগুলিকে ছাড় দেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, অবিলম্বে সিআরআই রিপোর্ট পাঠানোর দাবি জানিয়ে আজ, শুক্রবার (১ এপ্রিল) শালবনী থানার অধীন শালবনী সংলগ্ন দক্ষিণশোলে ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর কুড়মি সম্প্রদায়ের ঘাগর ঘেরা বা পথ অবরোধ কর্মসূচিতে স্তব্ধ হয় যানবাহন চলাচল। খড়্গপুরের সালুয়া সংলগ্ন চামরুসাইতে খড়্গপুর-কেশিয়াড়ি রাজ্য সড়কেও হয়েছে ‘ঘাঘর ঘেরা’ বা পথ অবরোধ কর্মসূচি। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার সকাল থেকেই এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। ফলে যাত্রীবাহী বাস সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। অসুবিধায় পড়েন যাত্রীরা। তবে, এই অসুবিধার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়ে কুড়মি সমাজের নেতৃত্বরা জানিয়েছেন, “আমরা ৫০ বছর (১৯৫০ সাল থেকে) ধরে বঞ্চিত। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার আমাদের ST বা তফশিলি উপজাতিভুক্ত হওয়া বা প্রকৃত জাতি-পরিচয় লাভ করা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। গত সেপ্টেম্বরে (২০২২ এর সেপ্টেম্বরে)’র অবরোধ কর্মসূচি তুলতে, রাজ্য সরকার আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ৭ দিনের মধ্যে কেন্দ্রের কাছে সিআরআই রিপোর্ট পাঠাবে। কিন্তু, ৬ মাস হয়ে গেলেও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তাই, পুনরায় আমরা রেল টকা ও ডহর ছেঁকা’র পথে যেতে বাধ্য হচ্ছি। এজন্য এখন থেকেই সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আর এর পুরো দায় সরকারকে নিতে হবে।” এদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী এই বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “রাজ্য সরকার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন। নিশ্চয়ই সঠিক সমাধানের পথ বের হবে।”