দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ এপ্রিল: এস.টি (ST) তালিকাভুক্ত করা তথা সিআরআই (Cultural Research Institute) জাস্টিফিকেশন রিপোর্ট পাঠানোর দাবিতে কুড়মি সম্প্রদায়ের ডাকা বুধবারের (২৬ এপ্রিল) বনধে আংশিক প্রভাব পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরে। পিড়াকাটা, শালবনী, গোয়ালতোড়, কেশিয়াড়ি থেকে শুরু করে কুড়মি অধ্যুষিত জঙ্গলমহল এলাকাগুলোতে বনধ বা সাধারণ ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে। এই সমস্ত এলাকায় বাস চলাচলও বন্ধ আছে। এমনকি, পিড়াকাটা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় দোকান-বাজারও বন্ধ। শালবনী শিল্পতালুকের JSW সিমেন্ট কারখানার কাজকর্ম প্রায় বন্ধ। গেটের সামনে সকাল থেকেই অবস্থান করছিলেন বনধ সমর্থনকারীরা। ফলে কর্মীরাও প্রবেশ করতে পারেননি। যদিও, ওসিএল-ডালমিয়া কারখানার কাজকর্ম স্বাভাবিক ভাবেই চলছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। এমনকি, শালবনী বাজারেও দোকানপাট সব খোলা আছে। মূলত, জাতীয় সড়ক এবং রেলপথ-কে ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখার কারণে যানবাহন চলাচলও মোটামুটিভাবে স্বাভাবিক আছে। জঙ্গল অধ্যুষিত লালগড়, ঝাড়গ্রাম, শালবনী, পিড়াকাটা, বাঁকুড়া ছাড়া মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে অন্যান্য লাইনের বাস চলাচলও স্বাভাবিক। খড়্গপুর, ডেবরা, বেলদা, ঘাটাল সহ বিভিন্ন এলাকায় বনধের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
এদিকে, ১২ ঘন্টার ডাকা বনধ সফল করতে সকাল থেকেই জঙ্গলমহলের বিভিন্ন রাস্তায় নামেন কুড়মি সংগঠনের সদস্যরা। তবে, জঙ্গলমহলে বনধের মিশ্র প্রভাব পড়লেও জেলার অনান্য প্রান্তে কোন প্রভাব পড়েনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্য সচিবের তরফে আলোচনার আশ্বাস দেওয়ার পর গত ৯ এপ্রিল উঠে যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউরের আন্দোলন। তবে, মুখ্যসচিব তথা রাজ্য সরকারের ভূমিকা বা আলোচনায় একেবারেই সন্তুষ্ট নন কুড়মিরা। তাই, আজ অর্থাৎ বুধবার ফের ‘ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি’র ডাকে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহল জুড়ে ১২ ঘন্টার (সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা) ‘হুড়কা জ্যাম’ বা সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। দাবি মানা না হলে, ভবিষ্যতে তাঁরা আরও বড় আন্দোলনের পথে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।