দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ১০ নভেম্বর: এ কেমন মহিলা পুলিশ? ছুটে গিয়ে মহিলা চাকরিপ্রার্থীর হাতে বসিয়ে দিলেন কুকুরের মতো কামড়? এ প্রশ্নটাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে গোটা রাজ্য জুড়ে। বুধবার ২০১৪ টেট পাস নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা চাকরির দাবিতে ফের একবার আন্দোলনে নেমেছিলেন। আর, সেই আন্দোলনেই ফের একবার উত্তাল হল তিলোত্তমা। চাকরিপ্রার্থীদের কিল, চড়, ঘুষি থেকে কামড় অবধি খেতে হল! এতেই শেষ নয়, ৩০ জন চাকরিপ্রার্থীকে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের। রাত অবধি তাঁদের ছাড়া হয়নি! তাঁদের মুক্তির দাবিতে মোমবাতি মিছিল সহ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন অবশিষ্ট চাকরিপ্রার্থীরা। জানা গেছে, চাকরি চেয়ে মহিলা পুলিশের কামড় খেয়েছেন যে চাকরিপ্রার্থী, তাঁকেই গ্রেফতার করল পুলিশ! আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল সহ আরও ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হিংসা ছড়ানো, পুলিশের উপর হামলা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ দিন রাতে ৩০ জন বাদে বাকি চাকরিপ্রার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে। তবে, রক্তাক্ত ও যন্ত্রণায় কাতর অরুনিমাকে কেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের সচেতন নাগরিকরা!
উল্লেখ্য যে, বুধবার একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে অরুনিমা সহ বাকি ৩০ জনকে। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁদের কোর্টে পেশ করা হবে বলে সূত্রের খবর। এর আগে, বুধবার সকালে ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে আন্দোলন করছিলেন। তাদের একটি দল ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা অভিষেকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্যই যাচ্ছিলেন। কিন্তু, তার আগেই তাঁদের বাধা দেন পুলিশকর্মীরা। তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলার চেষ্টা হয়। এর মধ্যেই মহিলা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে অরুণিমা পাল নামে এক আন্দোলনকারীর ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এই সময় আন্দোলনকারী তরুণীর হাতে গোলাপি টি শার্ট পরিহিত এক মহিলা পুলিশকর্মী কামড়ে দেন বলে অভিযোগ। অরুনিমার হাত রক্তাক্ত হয়! যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন তিনি। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই মহিলা পুলিশ কর্মী। তবে, সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় স্পষ্ট দেখা গেছে অরুনিমার হাতে ‘কামড়ের’ দাগ। সেই অবস্থাতেই তাঁকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তোলা হয় এবং গ্রেপ্তার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় বন্দী করে রাখা হয় বলে ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন তিনি। অনেক অনুনয় বিনয়ের পর টিটেনাস ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে, নিয়ে যাওয়া হয়নি হাসপাতালে! উল্টে, ওই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে সূত্র মারফত!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ নভেম্বর: আইআইটি (IIT)-র মতো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে অভাব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…