দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ ফেব্রুয়ারি:তাঁদের কঠোর পরিশ্রমেই রাজ্যজুড়ে টিকে আছে সমবায় ব্যবস্থা। অথচ নামমাত্র ৫-৬ হাজার টাকা বেতনে তাঁদের খাটানো হয়। নেই নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো। সমবায় সমিতির লভ্যাংশ থেকেই কোনোমতে তাঁদের বেতন মেটানো হয়। উদাসীন রাজ্য সরকার। সরকার বদলালেও তাঁদের অবস্থা বদলায়নি, এই অভিযোগ তুলে এবং রোপা ২০১৯ মেনে ন্যায্য সরকারি পে-স্কেল ঘোষণার দাবিতে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সমবায় কর্মচারী সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির তরফে প্রতীকী ধর্মঘট ও ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন করা হলো। জেলা সদর মেদিনীপুরে অবস্থিত জেলা সমবায় ভবনে জেলার প্রতিটি ব্লক থেকে আসা সমবায় সমিতির কয়েকশো কর্মচারী বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন করেন।

thebengalpost.net
বিক্ষোভ:

তাঁদের দাবি, সমবায় ব্যাংকের পে-স্কেল থাকলেও সমবায় সমিতির কর্মচারীরা বঞ্চিত! অথচ, রাজ্য জুড়ে সমবায় ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রেখেছেন সমবায় সমিতির কর্মচারীরাই। নাম মাত্র ২-৩ হাজার কিংবা ৫ হাজার টাকা বেতনে তাঁদের খাটানো হয়। তাই, শুক্রবার দুপুরে জেলা সমবায় দপ্তরের আধিকারিক বা এআরসিএস (ARCS) বিশ্বজিৎ কুন্ডুর হাতে তাঁরা স্মারকলিপি তুলে দেন এবং দাবি পূরণ না হলে সমবায় ব্যবস্থা স্তব্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। জেলা কমিটির তরফে কাঞ্চনময় ঘোষ, প্রশান্ত পলমল প্রমুখ বলেন, “আমাদের দাবিগুলি ARCS গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ RCS এর কাছে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।” তবে, রাজ্য সরকার তাঁদের এই দাবি না মানলে, ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে তাঁরা যাবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডি.এ আন্দোলনের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে সমবায় সমিতির কর্মচারীদের এই দাবি যে রাজ্য সরকারকে নতুন করে চাপে ফেলতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য!