দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ ফেব্রুয়ারি: ঠিক তিন মাস আগে জেলা ক্রীড়া সংস্থার (DSA) নির্বাচনে দাঁড়িয়ে গো-হারা হেরেছিলেন শাসকদলেরই অন্য একটি গোষ্ঠীর সদস্যদের কাছে। শাসকদলের কর্মচারী সংগঠনের নেতা হয়েও ‘খেলার মাঠে’ প্রবেশ করতে পারেননি সুব্রত সরকার। ইদানিং দলেও (তৃণমূল কংগ্রেসে) তেমন গুরুত্ব নেই! রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সেই নেতাকেই মঙ্গলবার দুপুরে দেখা গেল, ডিএ (DA/Dearness Allowance)’র দাবিতে জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বরে মিছিল চলাকালীন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক সদস্যকে লক্ষ্য করে লাথি মারতে। তবে, সরকারি কর্মচারী সংগঠনের দাবি, তিনি (সুব্রত সরকার) নাকি সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের মহিলাদের ‘প্রতিরোধ’ করছিলেন! যদিও, উপস্থিত সাংবাদিকদের আট-দশটা ক্যামেরায় স্পষ্ট দেখা গেছে পুলিশের সামনেই তিনি এক কর্মচারীকে সজোরে লাথি মারছেন। স্বভাবতই, শুধু বিরোধী নয়, এনিয়ে শাসকদলের অন্দরেই রীতিমতো নিন্দার ঝড় উঠেছে। অন্যদিকে, রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি’র তরফে ইতিমধ্যে ঘটনার তীব্র ‘নিন্দা’ করে সুব্রত সরকার সহ কয়েকজনের নামোল্লেখ সহ লিখিত আকারে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শাসকদল তথা জেলা তৃণমূলেরই একটি গোষ্ঠী বলছে, “হালে পানি পেতে সুব্রত দা পা চালিয়েছেন (বা, লাথি মেরেছেন)। আসলে ‘ময়দানের ভোটে’ হেরে গিয়েছেন তো, সেজন্যই কোনোভাবে ‘খেলা’য় ফিরতে চাইছেন!” আর, সিপিআইএম, বিজেপি সহ বিরোধীরা মনে করাচ্ছেন, “এই নেতা আবার মহিলাদের সম্ভ্রম রক্ষা করবেন কি! বছরখানেক আগে (এপ্রিল, ২০২২) এই নেতারই তো একটি কুৎসিত অডিও ভাইরাল (যদিও, সত্যতা যাচাই করেনি বেঙ্গল পোস্ট) হয়েছিল। যেখানে এক মহিলা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে উদ্দেশ্য করে উনি অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। আর, তা নিয়ে ওই মহিলা কর্মী জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ (১৯ এপ্রিল, ২০২২)-ও দায়ের করেছিলেন।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার পর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কালেক্টরেটে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ আন্দোলনে (DA Protest) সামিল করতে জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বরেই মিছিল শুরু করে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ তথা বাম সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি। সেই সময় জেলাশাসক দপ্তরের মধ্যে উপস্থিত তৃণমূল সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কর্মীরাও নিজেদের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে পাল্টা মিছিল শুরু করে। এরপরই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় ক্রমেই। ছুটে আসে কোতোয়ালি থানার বিশাল বাহিনী। তবে, কিছুক্ষণ পর পুলিশের সামনেই সুব্রত সরকার-কে লাথি মারতে দেখা যায় যৌথ মঞ্চের এক সদস্যকে লক্ষ্য করে! আর, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই মুহূর্তে জেলা জুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে! যদিও, এই বিষয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মানস রঞ্জন ভুঁইয়া সুদূর মেঘালয় থেকে অডিও বার্তায় জানিয়েছেন, “সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীদের বিদ্রোহ একেবারেই সমীচীন নয়। আমাদের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্বেও ডিএ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আর, আজকের ঘটনাতেও বাম কর্মচারী সংগঠনের তরফে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। মহিলাদের সম্ভ্রম নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছিল। আজকের ঘটনা একেবারেই অনভিপ্রেত।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…