দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ১ নভেম্বর: “দলের উর্ধ্বে কেউ নন, দলের নির্দেশই শেষ কথা! নেতা নয় কর্মীরাই দলের সম্পদ।” রবিবার জেলা শহরের প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে অনুষ্ঠিত মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী ও বর্ধিত কর্মীসভায় এটাই ছিল মূলসুর। মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া কিংবা বিধায়ক জুন মালিয়া, জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা কিংবা যুব সভাপতি সন্দীপ সিংহ সকলেই একযোগে বলে উঠেছেন, “আমাদের একজনই নেত্রী, বাকি সকলেই কর্মী। সেই নেত্রীর দেখানো পথ ধরে আরো সংগঠিত হয়ে, আরও মানুষের কাছাকাছি গিয়ে সংঘবদ্ধ ও শক্তিশালী হয়ে উঠতে হবে।” মন্ত্রী মানস যোগ করেছেন, “আমাদের নেত্রী এখন দেশের নেত্রী। তাই, বিভেদ-বৈষম্য দূরে সরিয়ে আরও শক্তিশালী, আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে উঠতে হবে।” মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া বললেন, “পশ্চিম মেদিনীপুরের কর্মীরা দেখিয়েছেন কিভাবে হারা সিট জিততে হয়। তাই, সামনের যে লড়াই, তাও আমরা নিশ্চয়ই জিতব। আপনারা আমার প্রণাম ও ভালোবাসা নেবেন।”
অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা’র আহ্বানে অনুষ্ঠিত এদিনের বিজয়া সম্মিলনী ও বর্ধিত কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন এই সাংগঠনিক জেলার সকল বিধায়ক, মন্ত্রী থেকে শুরু করে কর্মাধ্যক্ষ ও বর্ষীয়ান নেতৃত্বরা। যেন আগামী দিনের পৌর নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের লড়াইয়ের প্রাক্কালে এক ঐক্যবদ্ধ অঙ্গীকারে আবদ্ধ হলেন দলের সকল নেতা-কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন, শালবনীর বিধায়ক ও মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত, খড়্গপুর গ্রামীণের বিধায়ক তথা দলের চেয়ারম্যান দীনেন রায়, দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম চন্দ্র প্রধান, নারায়ণগগড়ের বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট, কেশিয়াড়ির বিধায়ক পরেশ মুর্মু, গড়বেতার বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি, দুই রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ ও আশিস চক্রবর্তী, জেলা মুখপাত্র সুকুমার পড়িয়া, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি শৈবাল গিরি, মহিলা সভাপতি কল্পনা শেঠি, মেদিনীপুর শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পান্ডব প্রমুখরাও। এছাড়াও, বর্ষীয়ান কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র, নেপাল সিংহ, প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই রাও উপস্থিত ছিলেন। জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা সকলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান।