দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ জুলাই: মেদিনীপুর থেকেই ধর্মতলার শহীদ সমাবেশে লক্ষাধিক জমায়েত করার চ্যালেঞ্জ! তাই, মাঠে-ঘাটে, পথে-প্রান্তরে ছুটে চলছেন নেতারা। শ্রমিক-কৃষক-শিক্ষক থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার পাওয়া গৃহবধূ- সকলকে নিয়েই চলছে মিটিং-মিছিল-পথসভা। আসন্ন পঞ্চায়েত আর চব্বিশের লোকসভা-কে পাখির চোখ করে দিদির ডাকে একুশের সমাবেশে যোগদান করতে হবে- এটাই বলছেন নেতৃত্বরা। মঙ্গলবার জেলা শহর মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের সভাগৃহে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির একটি প্রস্তুতি বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। একুশে জুলাইকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত এই প্রস্তুতি বৈঠকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কয়েকশো শিক্ষক শিক্ষিকা উপস্থিত হয়েছিলেন। ছিলেন, মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুজয় হাজরা, জেলা চেয়ারম্যান ও বিধায়ক দীনেন রায়, রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ, জিপি সুকুমার পড়িয়া, শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পান্ডব, সমিতির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু বিষই প্রমুখ। বৈঠক থেকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের উন্নয়ন এবং বিগত ৩৪ বছরের সঙ্গে পরিস্থিতির সার্বিক পরিবর্তনের ইতিকথা তুলে ধরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ধর্মতলার শহীদ সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ধন্যবাদ জানান শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি অনিমেষ দে এবং জেলা চেয়ারম্যান শান্তনু দে।
অপরদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে শালবনী ব্লকের সাতপাটী থেকে পিড়াকাটা পর্যন্ত একটি মহামিছিল অনুষ্ঠিত হল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বানে। প্রায় ৩ কিলোমিটার ব্যাপী এই বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সন্দীপ সিংহ, শালবনী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল সিংহ, সহ সভাপতি বুলবুল হাজরা, অঞ্চল সভাপতি শম্ভুনাথ মাহাত, পঞ্চায়েত প্রধান পরিমল ধল প্রমুখ। শুধু মেদিনীপুর বা শালবনী নয়, জেলার সবং থেকে পিংলা, ডেবরা থেকে খড়্গপুর, ঘাটাল থেকে চন্দ্রকোনা, ক্ষীরপাই থেকে গড়বেতা, বেলদা থেকে দাঁতন- সর্বত্র চলছে বুথে বুথে মিটিং, মিছিল, পথ সভা প্রভৃতি। ফ্ল্যাক্স, ব্যানার, ফেস্টুন, দেওয়াল লিখনে একটাই বার্তা- জননেত্রীর আহ্বানে একুশের সমাবেশ জনজোয়ারে পরিণত করতে হবে!