দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ জুন: “দলত্যাগ বিরোধী আইন কি আমি জানি। আমি, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দায়িত্ব নিয়ে বলছি, পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে তা কার্যকরী করে দেখাবো; ২ মাস লাগতে পারে, ৬ মাস লাগতে পারে!” পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় একটি দলীয় কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে আজ সাংবাদিকদের সামনে এভাবেই হুঙ্কার ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, বিধায়ক পদ পরিত্যাগ না করেই শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে সদ্য নির্বাচিত মুকুল রায়। আর, আজ সাংবাদিকরা এই বিষয়েই জানতে চান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। শুভেন্দু বলেন, “বিধায়ক ভাঙানো মাননীয়ার দীর্ঘদিনের রোগ! ২০১২ সাল থেকে এই কাজ তিনি করছেন। আগে টার্গেট করতেন সিপিএম ও কংগ্রেস কে। আর এখন বিজেপি’কে!”
আর এই প্রসঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, “আমি নিজে সবকিছু পরিত্যাগ করে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বিজেপি দলের সদস্য পদ গ্রহণ করেছিলাম। ঠিক একইভাবে এখনকার সমস্ত বিধায়ককেও দলত্যাগ বিরোধী আইন মেনে, দল পরিবর্তন করতে হবে। নাহলে, স্পিকার হাতে থাকলেই যা খুশি করা যাবেনা, পশ্চিমবঙ্গে কিভাবে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে হয় আমি তা ভালো করে জানি। ইতিমধ্যে, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ২ মাস লাগুক, ৬ মাস লাগুক পশ্চিমবঙ্গে এই আইন আমি কার্যকর করে দেখাবো। অন্যের বিধায়ক, নিজেদের খাতায় এসব আর চলবে না! মুকুল রায় কে দিয়ে তিনি যে বেআইনি কাজ শুরু করলেন, তা শেষ করার দায়িত্ব বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমার। যে কেউ তৃণমূলে যেতেই পারেন, কিন্তু বিধায়ক পদ পরিত্যাগ করে যেতে হবে।” একইসঙ্গে তিনি এও জানিয়ে দেন, মুকুল রায় কিংবা যে কেউ বিজেপি ছেড়ে চলে গেলে, বিজেপির কোন ক্ষতি হবে না; কারণ বিজেপি ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল নয় নীতি ও আদর্শভিত্তিক দল।